Mamata Banerjee: ‘পশ্চিমবঙ্গে রাজভবন থেকে সমান্তরাল সরকার চলছে’, পটনার বৈঠক থেকে সরব মমতা
Patna Opposition Meet: রাজভবন প্রসঙ্গ মমতার অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ রাজভবনকে সমান্তরাল সরকারে পরিণত করা হয়েছে বলে অভিযোগ মমতার। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের বিষয়টি নিয়েও নিজের ক্ষোভ গোপন করেননি তিনি। রাজ্যের সঙ্গে কথা না বলেই রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হল বলে অভিযোগ তাঁর।
পটনা: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের উদ্দেশ্যে জোট বাঁধতে চায় দেশের প্রধান বিরোধী দলগুলি। সেই লক্ষ্যেই শুক্রবার বৈঠকে বসেছিল ১৫টি বিরোধী দলের নেতারা। সেই বৈঠক শেষে নিজেদের মতান্তর সরিয়ে রেখে এক সঙ্গে লড়াইয়ের কথা শোনা গিয়েছে বিরোধী নেতা-নেত্রীদের কথায়। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ লড়াই করার পাশাপাশি বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে তিনি আক্রমণ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালকেও। বিজেপি রাজভবনকে সমান্তরাল সরকার বানিয়েছে বলেও অভিযোগ মমতার।
রাজভবন প্রসঙ্গ মমতার অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ রাজভবনকে সমান্তরাল সরকারে পরিণত করা হয়েছে বলে অভিযোগ মমতার। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের বিষয়টি নিয়েও নিজের ক্ষোভ গোপন করেননি তিনি। রাজ্যের সঙ্গে কথা না বলেই রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হল বলে অভিযোগ তাঁর। ইডি-সিবিআইকে ব্যবহার করে হেনস্থার অভিযোগও করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ লড়াই বিরোধীরা এক সঙ্গে লড়বে বলে জানিয়েছেন মমতা। বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, বিজেপি বেকারত্ব, মহিলাদের নিরাপত্তা, ১০০ দিনের কাজ নিয়ে ভাবে না। ২০২৪ সালে বিজেপি জিতলে ভবিষ্যতে আর নির্বাচনই হবে না বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। তাই বিজেপির প্রতিহিংসার মোকাবিলা করেই লডাইয়ের বার্তা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি বিহার থেকে বিভিন্ন আন্দোলন শুরু হয় বলেও এ দিন মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর রাজভবন মন্তব্যের পর পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে একটি সরকার রয়েছে।” বিরোধীদের এই বৈঠককে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, “যাঁরা আজকে সপরিবারে গিয়েছিল, সেটা আদর্শহীন চোরদের সিন্ডিকেটের জোট। এরা সকলে দুর্নীতিগ্রস্ত। এদের লক্ষ্য দুর্নীতিকে বাঁচিয়ে রাখা এবং পরিবারগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা। এটা দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক পরিবারের গেটটুগেদার।”