দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে আজই বৈঠকে বসবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী

গত বছর মাঝপথে পরীক্ষা বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) চলছে এই সংক্রান্ত মামলা।

দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে আজই বৈঠকে বসবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 01, 2021 | 6:13 PM

নয়া দিল্লি: দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা নিয়ে দোলাচল এখনও কাটেনি। কোভিড পরিস্থিতিতে কী ভাবে পরীক্ষা হবে, তা নিয়ে বৈঠক হলেও সমাধান সূত্রে বেরোয়নি। আজ, মঙ্গলবার পরীক্ষার দিন ঘোষণা হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। আর এ দিনই দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা নিয়ে বৈঠকে বসছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। বৈঠকে থাকবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তবে এই বৈঠকে থাকছেন না শিক্ষামন্ত্রী। অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সব রাজ্য এবং সবপক্ষের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করবেন মোদী। পরীক্ষার ক্ষেত্রে কোন বিকল্প উঠে আসছে, সেই বিষয়ে আলোচনা করবেন তিনি।

আপাতত সুপ্রিম কোর্টে চলছে এই পরীক্ষা সংক্রান্ত মামলা। ৩ জুন পর্যন্ত শীর্ষ আদালতে সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। সেই হিসেবে ৩ জুন আদালতে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হবে। সেই জন্যই তড়িঘড়ি প্রধানমন্ত্রীর এই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে। গত ২৩ মে একট বৈঠকে সিবিএসসি প্রস্তাব দিয়েছিল যাতে ১৫ থেকে ২৬ অগাস্টের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় শিক্ষা বোর্ড বৈঠকে দু’টি প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল। প্রথমত, ৩ মাস ধরে পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব। যেখানে একমাস ধরে পরীক্ষার প্রস্তুতি হবে ও পরবর্তী দুই মাসে পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশিত হবে। সেখানে বলা হয়েছিল পরীক্ষা হবে স্রেফ মূল বিষয়গুলির। সেখান থেকে অন্যান্য বিষয়গুলির নম্বর বিন্যাস হবে। অন্য প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, শুধুমাত্র একটি ভাষা ও তিনটি অন্য বিষয়ে পরীক্ষা হবে। হোম সেন্টারে পরীক্ষা হওয়ার বিষয়ও বৈঠকে আলোচিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: এ যেন নেই-হাসপাতাল! বাথরুমের ধারে শুয়ে নগ্ন কোভিড রোগীরা

করোনা পরিস্থিতিতে গত বছর মাঝপথেই স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল গিয়েছিল সিবিএসই এবং আইএসসি বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। পরে তা বাতিল হয়ে যায়। আভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। কিন্তু এ বার শীর্ষ আদালতের এই মামলায়, আদালত জানিয়েছে কেন্দ্র গত বছরের নীতি থেকে সরে যেতে চাইলে স্পষ্ট কারণ দর্শাতে হবে। সেটা খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।