নতুন সংসদ ভবনের ভূমিপুজো আজ, থাকবেন প্রধানমন্ত্রী
লোকসভায় একসঙ্গে ৮৮৮ জন সাংসদ বসতে পারবেন। এমন ব্যবস্থাও থাকবে, যেখানে যৌথ অধিবেশন হলে একসঙ্গে ১২২৪ জন বসতে পারেন।
নয়া দিল্লি: রাজধানীতে তৈরি হচ্ছে নতুন সংসদ ভবন। বৃহস্পতিবার এই ভবনের ভূমিপুজো। ভূমি পূজনে অংশ নেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। দিল্লির ইন্ডিয়া গেটের কাছে তৈরি হবে নতুন এই সংসদ ভবনটি। তবে শিলান্যাস হলেও এখনই নির্মাণের কাজে হাত দেওয়া সম্ভব নয়। আইনি জটিলতার গেরোয় ফেসে রয়েছে নয়া সংসদ ভবনের ভবিষ্যৎ। সুপ্রিম কোর্টে দাখিল হওয়া এক পিটিশনের কারণেই এই বিলম্ব।
২০,০০০ কোটি টাকার সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প। তারই অন্যতম অঙ্গ এই নতুন সংসদ ভবনটি। লক্ষ্মীবারে দুপুর ১২টা ৫৫ নাগাদ নতুন সংসদ ভবনের ভূমি পুজো শুরু হবে। প্রথম ইটটি রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর পর দুপুর ২টো ১৫ নাগাদ ভাষণ দেবেন তিনি।
৬৪,৫০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে তৈরি হবে ত্রিভূজ আকৃতির এই নতুন সংসদ ভবন। ৯৭১ কোটি টাকা খরচ করা হবে এই সংসদ ভবন তৈরিতে। ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে ভবনের দ্বার উদঘাটনের পরিকল্পনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে স্বাধীনতার ৭৫ বছরের স্মারক হয়ে উঠবে এই সংসদ ভবন।
PM will lay the foundation stone of new Parliament Building on Dec10. New building is an intrinsic part of vision of ‘Aatmanirbhar Bharat’ & will be landmark opportunity to build peoples’ Parliament after independence, one which will match needs & aspirations of ‘New India’: PMO pic.twitter.com/yMl1b0XnNL
— ANI (@ANI) December 8, 2020
টাটা প্রজেক্ট লিমিটেড এই নির্মাণের দায়িত্বে। লোকসভায় একসঙ্গে ৮৮৮ জন সাংসদ বসতে পারবেন। এমন ব্যবস্থাও থাকবে, যেখানে যৌথ অধিবেশন হলে একসঙ্গে ১২২৪ জন বসতে পারেন। রাজ্যসভার চেম্বারে একসঙ্গে বসতে পারবেন ৩৮৪ জন। এক্ষেত্রেও পরবর্তীকালে আসন সংখ্যা বাড়ানোর ব্যবস্থা রাখা হবে। বর্তমানে লোকসভায় একসঙ্গে ৫৪৩ জন সদস্য বসতে পারেন। রাজ্যসভার ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ২৪৫।
সংসদের প্রতিটি সদস্যর জন্য শ্রম শক্তি ভবনে ৪০ বর্গ মিটারের অফিস বরাদ্দ হবে। ২০২৪ সালের মধ্যে তৈরি হবে এই ভবন। ভারতের ঐতিহ্য, কৃষ্টিকে এই ভবনে তুলে ধরা হবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীদের যোগদান এই ভবনকে অন্য মাত্রা প্রদান করবে।
পুরনো সংসদ ভবনটি তৈরি হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে। ফলে এই ভবনের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা, নিরাপত্তা কিংবা ভূমিকম্প থেকে রক্ষার পরিকাঠামো বাড়াতে গেলে ভবনের ক্ষতি হবে। অথচ এই সংসদ ভবনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। সেদিকটি খেয়াল রেখেই এই নতুন ভবন তৈরির সিদ্ধান্ত।