Supreme Court Justice: নতুন আইনমন্ত্রী আসার পরই অনুমোদন, সুপ্রিম কোর্টে শপথ দুই বিচারপতির
আইনমন্ত্রী বদলের পর পরই সুপ্রিম কোর্টে শপথ নিলেন দুই বিচারপতি। বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্র অন্ধ্র প্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। বিচারপতি বিশ্বনাথন এক জন সিনিয়র আইনজীবী ছিলেন। তিনি ২০৩১ সালের ২৫ মে পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি থাকবেন।
নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বদলের পরই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগে ছাড়পত্র এল কেন্দ্রের তরফে। সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী অর্জুন মেঘাওয়াল টুইট করে সু্প্রিম কোর্টের প্রস্তাবিত কলেজিয়ামে সম্মতির কথা জানিয়েছেন। কেন্দ্রের সম্মতি আসার পরই শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্র এবং সিনিয়র আইনজীবী কেভি বিশ্বনাথন। এই দুজনের নাম সপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম প্রস্তাব হিসাবে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রের কাছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই তা আটকে ছিল। প্রসঙ্গত, এই নাম প্রস্তাবের সময় কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী ছিলেন কিরেন রিজিজু। কিন্তু তাঁর আমলে এই অনুমোদন আসেনি কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের তরফে। অর্জুন মেঘাওয়াল আইনমন্ত্রী হওয়ার পরই কলেজিয়ামের প্রস্তাব মঞ্জুর হল।
আইনমন্ত্রী বদলের পর পরই সুপ্রিম কোর্টে শপথ নিলেন দুই বিচারপতি। বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্র অন্ধ্র প্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। বিচারপতি বিশ্বনাথন এক জন সিনিয়র আইনজীবী ছিলেন। তিনি ২০৩১ সালের ২৫ মে পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি থাকবেন। এবং বিচারপতি জেবি পাদ্রিওয়ালার অবসরের পর দেশের প্রধান বিচারপতি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে তাঁর সামনে। তিনি দেশের দশম বিচারপতি যিনি আইনজীবী থেকে বিচারপতির পদে উন্নীত হলেন। বিচারপতি বিশ্বনাথনের আগে বিচারপতি এসএম সিকরি, বিচারপতি এসসি রায়, বিচারপতি কুলদীপ সিং, বিচারপতি সন্তোষ হেগে, বিচারপতি রোহিনটন নরিম্যান, বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও, বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা, বিচারপতি পিএস নরসিংহ আইনজীবী থেকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হয়েছিলেন। এর মধ্যে চার জন দেশের প্রধান বিচারপতিও হয়েছেন।
প্রাক্তন আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুর সঙ্গে বিচারব্যবস্থার দ্বন্দ্বের সাক্ষী থেকেছে গোটা দেশ। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনাও শোনা গিয়েছিল আইনমন্ত্রীর গলায়। কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামকে মান্যতা দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছিল। আইনমন্ত্রীর পদ থেকে রিরিজু সরে যাওয়ার পর এই পদক্ষেপে কি বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে বিরোধ মেটানোর ইঙ্গিত দেওয়া হল কেন্দ্রের তরফে? অন্তত বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ এরকমই মনে করছেন।