PM Narendra Modi: মোদী-ক্যারিশ্মাতেই মহারাষ্ট্র, হরিয়ানায় জয় বিজেপির, বলছে সমীক্ষা
PM Narendra Modi: চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন কিছুটা কমলেও শরিকদের সঙ্গে নিয়ে সরকার গড়েছে তারা। তারপর এই দুই রাজ্যে বিরোধীরা কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে। বিজেপির এই জয়ের কারণ কী? ম্যাট্রিজের একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে, বিজেপির এই জয়ের পিছনে প্রধান কারিগর প্রধানমন্ত্রী মোদী। কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা তাঁর সামনে দাঁড়াতে পারেনি।
নয়াদিল্লি: ২০১৪ সাল। তখনও তাঁর পরিচয় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, তখনই দেশজুড়ে মোদী-হাওয়া। ২০১৪ সালের নির্বাচনে সেই মোদী-ঝড়েই উড়ে গেল বিরোধীরা। প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হলেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী। তারপর ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে আরও বেশি আসন পেল বিজেপি। চলতি বছরে মোদীর উপর নির্ভর করেই লোকসভা ভোট বৈতরণী পেরিয়েছে বিজেপি। দশ বছরের বেশি তিনি প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন। তাঁর জনপ্রিয়তা ক্রমশ বেড়েছে। শুধু দেশের নাগরিকরা নন, বিশ্বের রাষ্ট্রনেতারাও তাঁর বাগ্মিতায় মুগ্ধ। একটি সমীক্ষা বলছে, চলতি বছরে হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে বিজেপির জয়ের পিছনেও রয়েছে সেই মোদী-ক্যারিশ্মা।
মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধীদের কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। মহারাষ্ট্রে বিধানসভায় আসন সংখ্যা ২৮৮। গত ২০ নভেম্বর এক দফায় এই রাজ্যে ভোট হয়। বিজেপি,শিবসেনা ও এনসিপির মহাযুতি ২৩৫টি আসন পায়। বিজেপি একাই পায় ১৩২টি আসন।
আর হরিয়ানার ৯০টি আসনে ভোটগ্রহণ হয় গত ৫ অক্টোবর। ফল ঘোষণা হয় তার ৩ দিন পর। বিজেপি পায় ৪৮টি আসন। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে বিজেপি।
এই খবরটিও পড়ুন
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন কিছুটা কমলেও শরিকদের সঙ্গে নিয়ে সরকার গড়েছে তারা। তারপর এই দুই রাজ্যে বিরোধীরা কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে। বিজেপির এই জয়ের কারণ কী? ম্যাট্রিজের একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে, বিজেপির এই জয়ের পিছনে প্রধান কারিগর প্রধানমন্ত্রী মোদী। কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা তাঁর সামনে দাঁড়াতে পারেনি। কংগ্রেস প্রচার করেছিল যে সংবিধান বদলাতে চায় বিজেপি সরকার। কিন্তু, সেই প্রচার যে জনমানসে প্রভাব ফেলেনি, সমীক্ষায় তা উঠে এসেছে।
২৫ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সমীক্ষা চালানো হয়। মহারাষ্ট্রে মোট ৭৬ হাজার ৮৩০ জনের মতামত নেওয়া হয়। আর হরিয়ানায় মতামত নেওয়া হয় ৫৩ হাজার ৬৪৭ জনের।
আর এই সমীক্ষাতেই মোদীর জনপ্রিয়তার ছবি ধরা পড়েছে। লোকসভা ভোটে বিজেপির আসন কমলেও মোদীর জনপ্রিয়তা যে অটুট রয়েছে, তা স্পষ্ট হয়েছে এই দুই রাজ্যের ভোটারদের উপর সমীক্ষায়। মোদীর উপর আস্থা রেখেছেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া মহারাষ্ট্রের ৫৫ শতাংশ ভোটার। সেখানে হরিয়ানায় মোদী-ক্যারিশ্মায় আস্থা রেখেছেন ৫৩ শতাংশ।
মোদী সরকার সংবিধান বদলানোর চেষ্টা করছে বলে লোকসভা ভোটের প্রচারে সরব হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার নির্বাচনে কংগ্রেসের এই প্রচার কাজে লাগেনি।
সমীক্ষায় আরও উঠে এসেছে, রাহুলের উপর তেমন আস্থা দেখাননি মানুষ। মোদীর দৃঢ় মানসিকতা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতার কাছে টিকতে পারেননি রাহুল।
লোকসভা ভোটে এই দুই রাজ্যে যাঁরা বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন, তাঁরা বেশিরভাগ এবার বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন।
বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে ‘এক হে তো সেফ হে’ (একসঙ্গে থাকলে সুরক্ষিত থাকব) স্লোগানও জনমানসে প্রভাব ফেলেছে। বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব ও স্থানীয় ইস্যুতে জোর দেওয়া ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে। স্থায়ী সরকার, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পও মানুষের মন জয় করেছে। সবমিলিয়ে মোদী-ক্যারিশ্মায় ভর করে দুই রাজ্যে উড়েছে গেরুয়া পতাকা।