Kartavya Path: ‘চিরতরে মুছে গেল…’, কর্তব্যপথে এসে দেশবাসীকে সেলফি তুলতে বললেন মোদী
Kartavya Path: ঔপনিবেশিকতার প্রতীক 'রাজপথ' এখন ইতিহাস, চিরতরে মুছে গেল ভারতের বুক থেকে। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সেন্ট্রাল ভিস্তা পুনঃউন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসাবে ইন্ডিয়া গেটে 'কর্তব্য পথের' উদ্বোধন করে এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নয়া দিল্লি: ঔপনিবেশিকতার প্রতীক ‘রাজপথ’ এখন ইতিহাস, চিরতরে মুছে গেল ভারতের বুক থেকে। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সেন্ট্রাল ভিস্তা পুনঃউন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসাবে ইন্ডিয়া গেটে ‘কর্তব্য পথের’ উদ্বোধন করে এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিংসওয়ে বা রাজপথকে তিনি দাসত্বের প্রতীক বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “পথের নামই যদি রাজপথ হয়, সেখানে থেকে কেউ নিজেকে দেশের সেবক কী করে মনে করবে? কিন্তু, এখন কর্তব্য পথ দিয়ে যাওয়ার সময় দেশের সকলে কর্তব্য পালনে অনুপ্রাণীত হবে। কর্তব্যপথের আকারে একটি নতুন যুগের সূচনা হল। আমি দেশের সকল মানুষকে অভিনন্দন জানাই। কারণ, আমরা ঔপনিবেশিকতার আরেকটি প্রতীক ছেড়ে বেরিয়ে এলাম।” তিনি দেশবাসীকে কর্তব্যপথে আসার জন্য আহ্বান জানান। সেলফি নিতে বলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাশট্যাগ কর্তব্যপথ লিখে সেই ছবি শেয়ার করারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
উদ্বোধনের আগে, প্রধানমন্ত্রী মোদি এই পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত নির্মাণকর্মীদের সঙ্গে বার্তালাপ করেন। তাঁদের তিনি আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে সপরিবারে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “দেশে শ্রমকে সম্মান জানানোর এক পুরোনো ঐতিহ্য নতুন করে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। দেশ গঠনের একদিকে যদি সংবিধান থাকে, তাহলে অপরদিকে রয়েছেন এই শ্রমিকরা।” পরিমার্জিত সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউয়ে একটি প্রদর্শনীতেও ভ্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
Honourable Prime Minister Shri @NarendraModi inaugurated & dedicated to the nation, the ‘Kartavya Path’. pic.twitter.com/PkcY8X9yrI
— G Kishan Reddy (@kishanreddybjp) September 8, 2022
কার্তব্য পথ সুসজ্জিত লন, হাঁটার জন্য আলাদা পথ, সংযুক্ত সবুজ মাঠ, সংস্কার করা খাল, ভেন্ডিং কিয়স্ক, পথচারীদের জন্য আন্ডারপাস, উন্নত পার্কিং এলাকা, নতুন প্রদর্শনী প্যানেল এবং আপগ্রেড নাইট লাইটিং যুক্ত করা হয়েছে। নবরূপে সজ্জিত কর্তব্য পথে গণ শৌচাগার, পানীয় জল, বসার জায়গার মতো মৌলিক সুবিধার অভাবও পূরণ করা হয়েছে। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ঝড়-বৃষ্টির জল ব্যবস্থাপনা, জলের পুনর্ব্যবহার, বৃষ্টির জল সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ এবং শক্তি-সাশ্রয়ী আলোর ব্যবস্থার মতো বেশ কয়েকটি টেকসই বৈশিষ্ট্যও যোগ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি এদিন ইন্ডিয়া গেটের কাছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর একটি বিশাল মূর্তিও উন্মোচন করেছেন। প্রসঙ্গত যেখানে নেতাজির মূর্তিটি স্থাপিত হল, সেখানে আরও একটি ঔপনিবেশিকতার চিহ্ন, রাজা পঞ্চম জর্জের মূর্তি ছিল। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাজপথ ছিল রাজক্ষমতার প্রতীক। ‘কর্তব্য পথ’-এ রূপান্তরের মাধ্যমে একে জনমালিকানা এবং ক্ষমতায়নের প্রতীক করে তোলা হল।