Sanjay Rai: ইতিহাস বহন করবে Room NO 210! ডাকা হল সঞ্জয়কে, লাল দড়ি দিয়ে ঘেরা সঞ্জয়ের পথ… এজলাসে কী হল?
Sanjay Rai: আজ, বাকি অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি ভিড় এই ঘরে। ঘরের ভিতর সঞ্জয় যে পথে আসবে, সেটা 'লাল দড়ি' দিয়ে আলাদা করা হবে।
কলকাতা: Room No 210. শুধু বাংলাই নয়, গোটা দেশ আজকে তাকিয়ে রয়েছে এই ঘরের দিকেই। শিয়ালদহ আদালতে ফাস্ট এডিজে অনির্বাণ দাসের পেনের খোঁচায় সাজা নৃশংস ঘটনার ‘কালপিট’ সঞ্জয় রায়ের। আজ, বাকি অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি ভিড় এই ঘরে। ঘরের ভিতর সঞ্জয় যে পথে আসবে, সেটা ‘লাল দড়ি’ দিয়ে আলাদা করা হবে।
শিয়ালদহ আদালতের তিন তলার রুম ২১০। এখানে বিচারক অনির্বাণ দাসের এজলাস। বিচারক আসার আগেই সেই ঘরে থিক থিকে ভিড়। সকলেই যেন এই নৃশংস কাণ্ডের ক্লাইম্যাক্সের সাক্ষী থাকতে চাইছেন। প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন।
সঞ্জয়কে যে পথে কক্ষে ঢোকানো হবে, সেটা লাল দড়ি দিয়ে ঘেরা হবে। গত ১০ অগস্ট আরজি কর মামলায় কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় সঞ্জয়। সিভিক ভলান্টিয়র পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। শনিবার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। পরিবার অবশ্য প্রথম থেকেই দাবি করেছেন, এই ঘটনায় একা সঞ্জয় নয়, আরও অনেকে জড়িত। প্রথমে না বললেও, সঞ্জয় পরে সেই দাবিকেই প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছিল। এর পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করেছিলেন। আদালতে তা গৃহীত হয়নি। আদালত তাকেই দোষী সাব্যস্ত করে।
অবশেষে বেলা ১২.৪০ মিনিট নাগাদ এজলাসে এসে পৌঁছয় সঞ্জয়। পরনে গ্রে-কমলা হুডি! সেই একই পোশাক। থিক থিকে ভিড়ের মধ্যে দিয়ে সঞ্জয়কে প্রথমে এজলাসের ভিতরে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছিল না। পরে লাল দড়ির ঘেরাটোপ পেরিয়ে তাকে ঢোকানো হয়। এজলাসে পৌঁছেছেন বিচারকও। ফার্স্ট জাজ অনির্বাণ দাস এজলাসে এসেই প্রথম প্রশ্ন করেন, ‘বাবা-মা আসেননি?’ তাঁদের উদ্দেশে হাত জোড় করে বসার অনুমতি চান বিচারক।