Nipah Virus: নিপা ভাইরাসের দাপট কি কমল? কী বলছে কেরল?
Nipah Virus: কোঝিকোড়ের মোট সাতটি পঞ্চায়েত এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের বলা হয়েছিল, তারা এলাকা ছেড়ে যেতে পারবে না। পুলিশ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল এলাকাগুলি।
কেরল: গত কয়েকদিনে নিপা ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে গোটা দেশে। কেরলে প্রথম সংক্রমণের সূত্র পাওয়া গিয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেদের কপালেও ভাঁজ ফেলেছে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা। তবে এবার সেই কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর মিলল কেরল থেকে। নিপা ভাইরাসের জন্য যে কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করা হয়েছিল, তার বিধি আস্তে আস্তে শিথিল হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে একটিও সংক্রমণের খবর না আসায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে রাজ্যের প্রশাসন। জানা গিয়েছে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে কারও আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জও জানিয়েছেন, কারও আক্রান্ত হওয়ার খবর নেই।
এক বিবৃতিতে কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ৩৬৫ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। আর সংস্পর্শে এসেছেন এমন ৯১৫ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরপরই কোঝিকোড়ে কনটেনমেন্ট জোনের নিয়ম শিথিল করার কথা বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনে তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই সব এলাকায় আপাতত ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে দুপুর ২ টো পর্যন্ত ও দোকান খোলা থাকবে রাত ৮ টা পর্যন্ত।
কোঝিকোড়ের মোট সাতটি পঞ্চায়েত এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের বলা হয়েছিল, তারা এলাকা ছেড়ে যেতে পারবে না। পুলিশ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল এলাকাগুলি। শুধুমাত্র ওষুধ দোকান ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান খোলা রাখা হয়েছিল।
মোট ৪ জন নিপা ভাইরাস আক্রান্তের চিকিৎসা চলছে বর্তমানে। কোঝিকোড়ে যে নিপা সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি, তেমনটাই বলেছিল আইসিএমআর-ও। তাই কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি প্রশাসন। তবে এবার আস্তে আস্তে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে কেরলের ওই জেলা।