সংখ্যালঘুর ধারণা পুনর্বিবেচনার দাবি জানাল RSS
RSS general secretary Dattatreya Hosabale: তিনি জানান, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করছে সংঘ। তবে, কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে 'সংখ্যালঘু' বললে সমাজে বিভাজন তৈরি হয় বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, “সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত সংখ্যালঘুদের ধারণা নিয়ে পুনর্বিবেচনা করা দরকার। দেশটা কার? এটা সবারই।"
নাগপুর: ভারতীয় সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত সংখ্যালঘুদের নিয়ে পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন। রবিবার এমনই দাবি করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস (RSS)-এর সাধারণ সম্পাদক, দত্তাত্রেয় হোসাবলে। এদিন নাগপুরে, আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার বৈঠকের শেষ দিনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন হোসাবলে। তিনি জানান, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করছে সংঘ। তবে, কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে ‘সংখ্যালঘু’ বললে সমাজে বিভাজন তৈরি হয় বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, “সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত সংখ্যালঘুদের ধারণা নিয়ে পুনর্বিবেচনা করা দরকার। দেশটা কার? এটা সবারই। কিন্তু, গত কয়েক দশক ধরে কিছু সম্প্রদায়কে সংখ্যালঘু বলার ধারা তৈরি হয়েছে। সংঘ সবসময় সংখ্যালঘু রাজনীতির বিরোধিতা করে এসেছে।”
আরএসএস-এর চোখে সংখ্যালঘু কারা? এই প্রশ্নের জবাবে আরএসএস-এর সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, “হিন্দু ব্যক্তিগত আইনের অধীনস্থ সম্প্রদায়গুলিকে সংগঠিত করে সংঘ। সাধারণত, মুসলিম এবং খ্রিস্টানদের সংখ্যালঘু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সংঘের সকল নেতা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার চেষ্টা করেন। এই সম্প্রদায়গুলি থেকেও আরএসএস-এর প্রচুর কর্মীরা আসেন। আমরা তাদের ‘শোপিস’ হিসাবে দেখাই না। তার কোনও দরকার নেই। আমরা মনে করি, প্রত্যেকেই জাতীয়তা অনুযায়ী হিন্দু। যারা ধর্মের কারণে এই মতের বিশ্বাসী নয়, আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করি। যারা আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চায়, তাদের জন্য আমাদের দরজা সবসময় খোলা।”
দত্তাত্রেয় হোসাবলে স্পষ্ট জানিয়েছেন, সংঘের যে জাতীয় অখণ্ডতা রক্ষার দৃষ্টিভঙ্গি, তাতে সমস্ত সম্প্রদায় রয়েছে। তিনি বলেন, “উদাহরণস্বরূপ, রাম মন্দির অক্ষত বিতরন সমারোহের সময়, সমাজের সমস্ত সম্প্রদায় তাতে যোগ দিয়েছিল। আমি ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় ছিলাম এবং সেখানে সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ এসেছিলেন। কেরলের খ্রিস্টান এবং মুসলমানরাও এসেছিল। গত কয়েক বছরে সমস্ত সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন আরএসএস প্রধান। দেশের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কিছু শক্তি দেশের অগ্রগতিতে বাধা দিচ্ছে। দুঃখজনকভাবে, সামাজিক স্তরবিন্যাস এবং অস্পৃশ্যতার ভিত্তিতে বৈষম্যের ঘটনা এখনও ঘটে চলেছে। সংঘ, ধর্মীয় এবং সামাজিক দিক থেকে এর সংশোধনের চেষ্টা করছে। সংঘ সামাজিক সম্প্রীতি চায়। দেশের প্রত্যেকের এটা চাওয়া উচিত।” ইউনিফর্ম সিভিল কোডকেও সংঘ স্বাগত জানাচ্ছে বলে জানিয়েছেন হোসাবলে।