Shimla: বারমুডা-মিনি স্কার্টে নিষেধাজ্ঞা, সিমলার শতবর্ষ পুরনো মন্দিরে চালু পোশাক বিধি
Dress Code: নোটিসে বলা হয়েছে, সমস্ত পুরুষ ও মহিলার শালীন পোশাক পরেই মন্দিরে আসা উচিত। ছোট পোশাক, হাফ প্যান্ট, বারমুডা, মিনি স্কার্ট, নাইট স্যুট, ছেঁড়া জিনস, ফ্রক, থ্রি-কোয়ার্টার জিনসের মতো পোশাক পরে মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ।
সিমলা: মন্দিরে প্রবেশের জন্য চালু হল পোশাক বিধি (Dress code)। এবার আর ছোট পোশাক (Short dress) পরে মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে না। এমনই নিয়ম চালু হয়েছে সিমলার (Shimla) ১০০ বছরের পুরনো জৈন মন্দিরে। ইতিমধ্যে এব্যাপারে মন্দিরের বাইরে নোটিসও দেওয়া হয়েছে। কী কী পোশাক পরে মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে না, সে ব্যাপারে নোটিসে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। সেই সমস্ত পোশাক বা ছোট পোশাক পরে কেউ মন্দিরে এলে তাঁকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। হিন্দু সংস্কৃতির মূল্যবোধ, মন্দিরের শৃঙ্খলা ও নিয়ম-কানুন বজায় রাখতেই এই বিধি চালু হল বলে জানিয়েছেন শ্রী দিগম্বর জৈন সভা কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, সিমলার ১০০ বছরের পুরনো জৈন মন্দিরটি মূলত শ্রী দিগম্বর জৈন সভা দ্বারা পরিচালিত। জৈন সম্প্রদায়ের কাছে এই মন্দিরটি বিশেষভাবে জনপ্রিয়। এছাড়া বহু পর্যটকও এই মন্দিরে যান। সাম্প্রতিককালে বহু পুণ্যার্থী ছোট পোশাক পরে মন্দিরে আসছেন। তাই মন্দিরের শৃঙ্খলা ও সংস্কৃতি বজায় রাখতেই পোশাক বিধি চালু করল শ্রী দিগম্বর জৈন সভা কর্তৃপক্ষ।
কোন কোন পোশাক পরে মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ?
সিমলার শ্রী দিগম্বর জৈন সভার তরফে দেওয়া নোটিসে বলা হয়েছে, সমস্ত পুরুষ ও মহিলার শালীন পোশাক পরেই মন্দিরে আসা উচিত। ছোট পোশাক, হাফ প্যান্ট, বারমুডা, মিনি স্কার্ট, নাইট স্যুট, ছেঁড়া জিনস, ফ্রক, থ্রি-কোয়ার্টার জিনসের মতো পোশাক পরে মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ।
পোশাক বিধি প্রসঙ্গে সিমলার শতবর্ষ পুরনো জৈন মন্দিরের পুরোহিত সঞ্জয় কুমার জৈন জানান, বর্তমানে মহিলাদের ফ্যাশন এবং পছন্দের বদল ঘটেছে। সেদিকে খেয়াল রেখে এবং হিন্দু সংস্কৃতির মূল্যবোধের কথা ভেবেই মন্দিরে পোশাক বিধি চালু করা হল। তিনি আরও জানান, আগে বয়স্করা শালীন পোশাক পরেই মন্দিরে আসতেন। কিন্তু, বর্তমানে তরুণ ছেলে-মেয়েরা, এমনকি প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলারাও ছোট পোশাক পরে মন্দিরে আসেন। এটা ঠিক নয়। তাই মন্দিরের সংস্কৃতি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতেই নয়া পোশাক বিধি চালু করা হল। মন্দিরে আগত সকলকে এই বিধি মেনে চলতে হবে।
যদিও শতবর্ষ পুরনো জৈন মন্দিরে পোশাক-বিধি চালু হওয়া নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। নেটিজেনদের কটাক্ষের মুখে পড়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।