Supreme Court On R G Kar: ‘কেমন জায়গায় বাস করি…’, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই ডুকরে কেঁদে উঠলেন তিলোত্তমার বাবা… কেন?
Supreme Court On R G Kar: প্রথম থেকেই সিবিআই তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন তিলোত্তমার বাবা-মা। দিল্লিতে গিয়ে সিবিআই ডিরেক্টরের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন। তাঁদের বক্তব্য, কলকাতা পুলিশ যেভাবে তদন্ত শুরু করেছিল, সেখান থেকে সিবিআই যে পর্যায়ে মামলা হাতে নেয়, তা পুরোটাই সায়েন্টিফিক এভিডেন্সের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছে।

নয়া দিল্লি: আরজি কর মামলার শুনানি হবে হাইকোর্টে। তিলোত্তমার বাবা-মার আবেদনকে মান্যতা দিয়ে নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ। এবার থেকে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার সময়ে কান্নায় ভেঙে পড়়েন তিলোত্তমার বাবা।
আদলত চত্বরে দাঁড়িয়ে তিলোত্তমার বাবা বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের কাছে কৃতজ্ঞ। আমাদের ম্যাম (আইনজীবী করুণা নন্দী) কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।” কথা বলতে গিয়েই ডুকরে কেঁদে ফেলেন তিলোত্তমার বাবা। তিনি বলেন, “কেমন জায়গায় বাস করি, বাবা হয়ে মেয়ের ডেথ সার্টিফিকেট পেতে দরজায় দরজায় ঘুরছি। হাইকোর্টে যখন গিয়েছে, সব বিষয়গুলো তাড়াতাড়ি তুলে ধরতে পারব। সিবিআই-কেও বলব, তাড়াতাড়ি তদন্ত করতে। মেয়ের ন্যায়বিচারের জন্য আর যেন কোনও দরজায় দরজায় ঘুরতে না হয়। ”
তিলোত্তমার মা বলেন, “সন্তুষ্ট বা খুশির মুহূর্তে আমাদের জীবনে আর আসবে না। তবে যে লড়াইটা আমরা করছি, সেই জায়গা থেকে আজ একটু খুশি। সুপ্রিম কোর্ট যে সুযোমোটো নিয়েছিল, ওটা হাইকোর্টের কাছে ছেড়ে দিয়েছে। এর জন্য আমরা সুপ্রিম কোর্টের কাছে কৃতজ্ঞ। সব থেকে বেশি কৃতজ্ঞ আমাদের ম্যাম করুণা নন্দীর কাছে। আমরা যা হারিয়েছি, সেটা আর ফিরে আসবে না। আমাদের ঘরটা শূন্যটাই থাকবে। কিন্তু পরবর্তীকালে কোনও বাবা-মা যাতে আমাদের মতো পরিস্থিতিতে না পড়েন। সেই জন্যই লড়াই। সাড়ে সাত মাস পরেও মেয়ের ডেথ সার্টিফিকেট আমরা পাইনি।”
প্রসঙ্গত, প্রথম থেকেই সিবিআই তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন তিলোত্তমার বাবা-মা। দিল্লিতে গিয়ে সিবিআই ডিরেক্টরের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন। তাঁদের বক্তব্য, কলকাতা পুলিশ যেভাবে তদন্ত শুরু করেছিল, সেখান থেকে সিবিআই যে পর্যায়ে মামলা হাতে নেয়, তা পুরোটাই সায়েন্টিফিক এভিডেন্সের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছে। তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সিবিআই-এর ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছিলেন তিলোত্তমার বাবা-মা। সিএফএসএলের রিপোর্ট, পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তি করে জিজ্ঞাসাবাদের তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ ছিল, সেই তালিকার অধিকাংশকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তিলোত্তমার বাবা-মায়ের আবেদন ছিল, আরও তদন্তের প্রয়োজন। কলকাতা হাইকোর্টে সেই মর্মে আবেদন জানান তাঁরা। কিন্তু যেহেতু মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, তাই তা শুনতে চায়নি হাইকোর্ট। এরপর সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান তিলোত্তমার বাবা-মা। এদিন সুপ্রিম কোর্ট তাতেই মান্যতা দেয়।





