Supreme Court: সুপ্রিম নির্দেশে স্বস্তিতে কমিশন, ভোটের মধ্যে জানা যাবে না কত ভোট পড়ল
লোকসভা ভোটের মধ্যে জানা যাবে না, কোন বুথে কত ভোট পড়ল। এই সংক্রান্ত তথ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে না বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। এই নির্দেশ দিলে, কমিশনের ঘাড়ে ভোটের মধ্যে অতিরিক্ত বোঝা চাপবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
নয়া দিল্লি: নির্বাচন কমিশনকে স্বস্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট। লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন, কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রতিটি বুথের ভোটদানের পরিসংখ্যান প্রকাশ করতে হবে না। কমিশনকে এই নির্দেশ দিতে অস্বীকার করল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার (২৪ মে), বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার অবকাশকালীন বেঞ্চ জানিয়েছে, পাঁচ দফার ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। আর মাত্র দুই দফা বাকি আছে। এই অবস্থায়, প্রতিটি বুথের ভোটদানের তথ্য কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার নির্দেশ দিলে, প্রয়োজনীয় লোকবল সংগ্রহ করা নির্বাচন কমিশনের পক্ষে চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াবে।
বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বলেন, “আমাদের বাস্তব পরিস্থিতিও মাথায় রাখতে হবে। নির্বাচনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের ঘাড়ে অতিরিক্ত বোঝা চাপানো ঠিক হবে না। তাও আবার, মাঝপথে নির্বাচন প্রক্রিয়াকেই চ্যালেঞ্জ করে।” এই বিষয়ে শীর্ষ আদালতে একটি এই অন্তর্বর্তীকালীন আবেদন করেছিল অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস বা এডিআর। এদিন সেই আবেদনটি স্থগিত করে দিল অবকাশকালীন বেঞ্চ। বেঞ্চ জানিয়েছে, ২০১৯ সালে এই বিষয়ে যে মূল আবেদনটি করা হয়েছিল, আর এই আবেদনের বক্তব্য প্রায় এক। মূল আবেদনের ভিত্তিতে মামলাটি এখনও চলছে। নির্বাচনের পরে নিয়মিত বেঞ্চে বর্তমান মামলাটির শুনানি হবে বলে জানিয়েছে অবকাশকালীন বেঞ্চ। আদালতের এদিনের নির্দেশের ফলে, ভোটের মধ্যে কোন বুথে কত ভোট পড়ল, তা জানতে পারবেন না সাধারণ মানুষ।
প্রতিটি বুথে ভোটগ্রহণের পর ‘ফর্ম ১৭সি’ নামে একটি ফর্মে ভোটদান সংক্রান্ত সকল তথ্য নথিবদ্ধ করেন সংশ্লিষ্ট বুথের প্রিসাইডিং অফিসার। বুথে উপস্থিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এজেন্টদের দিয়ে সেই ফর্মে স্বাক্ষরও করিয়ে নেওয়া হয়। ভোটগ্রহণ শেষের পরই এই ফর্মের প্রথম অংশ স্ক্যান করে কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছিল এডিআর। ১৭ মে, নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
কমিশন বলেছিল, নির্বাচনী আইনে কোথাও ভোটদানের তথ্য় প্রকাশ করতেই হবে, এমন কথা বলা নেই। তাছাড়া, এই বিপুল সংখ্যক বুথের তথ্য এত দ্রুত প্রকাশ করা সম্ভব নয়। নির্বাচনের পরই এই তথ্য তারা প্রকাশ করতে পারবে। সেই সঙ্গে, তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল, নির্বাচনী নথি প্রকাশ করা হলে, সাধারণ মানুষ তাতে কারিকুরি করে ভ্রান্তি ছড়াতে পারে। প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অনেক দেরি করে ভোটদানের তথ্য প্রকাশ করার অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। শুধু তাই নয়, ভোটগ্রহণের দিন যে আনুমানিক হিসেব প্রকাশ করা হয়, তার সঙ্গে পরে প্রকাশিত তথ্যে অনেক ফারাক দেখা যাচ্ছে। এই ফারাক কেন হচ্ছে, সেই প্রশ্নও তুলেছে বিরোধীরা।