‘কাজ নেই, টাকা নেই কীভাবে বাঁচবে ওরা?’ পরিযায়ীদের সাময়িক ভরনপোষণের দায়িত্ব নিক কেন্দ্র: সুপ্রিম কোর্ট

কেন্দ্রের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, এ বছর সম্পূর্ণ লকডাউন হয়নি, তাই বাড়ি ফিরে যাওয়ার তাড়া নেই পরিযায়ী শ্রমিকদের।

'কাজ নেই, টাকা নেই কীভাবে বাঁচবে ওরা?' পরিযায়ীদের সাময়িক ভরনপোষণের দায়িত্ব নিক কেন্দ্র: সুপ্রিম কোর্ট
অলংকরণ- অভিজিৎ বিশ্বাস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 13, 2021 | 3:52 PM

নয়া দিল্লি: গত বছর দেশে প্রথম লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর পরিযায়ী শ্রমিকদের হৃদয় বিদারক ছবি উঠে এসেছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। দিনের পর দিন রোদ-জল মাথায় করে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরা, কারও আবার পথেই মৃত্যু। এমন সব ঘটনা নাড়া দিয়েছিল গোটা দেশকে। সেই কঠিন বাস্তবকে মাথায় রেখে পরিযায়ী শ্রমিকদের সংস্থান করার কথা কেন্দ্রকে বলল সুপ্রিম কোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার সেই এই সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি ছিল বিচারপতি অশোক ভূষণ ও বিচারপতি এমআর শাহের বেঞ্চে। আজই ওই শ্রমিকদের সস্তায় খাদ্য ও পরিবহন পরিষেবা দেওয়ার জন্য নির্দেশিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

‘কাজ নেই, টাকা নেই কীভাবে বাঁচবে ওরা?’

দুই বিচারপতির বেঞ্চের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে এ দিন বলা হয়, ‘কাজ নেই, টাকা নেই, কীভাবে বাঁচবে ওই শ্রমিকেরা? অন্তত কিছু সময়ের জন্য ভরণপোষণের দায়িত্ব অবশ্যই নিতে হবে কেন্দ্রকে।’

নগদ টাকা দেওয়ার আবেদন:

গত বছর লকডাউনে কর্মহারা শ্রমিকদের সাহায্য করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ করে কেন্দ্র। এবারও একাধিক রাজ্যে লকডাউন জারি হয়েছে ইতিমধ্যেই। আর তার জেরে ফের সমস্যার মুখোমুখি তাঁরা। তাঁদের সমস্যার কথা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন হর্ষ মন্দার, অঞ্জলি ভরদ্বাজ ও জগদীপ চক্কর। আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ এ দিন আদালতে পরিযায়ী শ্রমিদের আত্মনির্ভর প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি জানান। তাঁর দাবি, যে সব জায়গায় পরিযায়ী শ্রমিকরা থাকছেন সেখানে তাঁদের রান্না করা খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে, রেশন কার্ড না থাকলেও রেশন দিতে হবে ও প্রয়োজনে শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে নগদ টাকা দিতে হবে।

আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ জানান, দেশে মোট ৮ কোটি পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন যাঁদের মধ্যে অনেকেরই রেশন কার্ড নেই।

এ বছর ফিরে যেতে হচ্ছে না পরিযায়ী শ্রমিকদের:

সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এ দিন বলেন, ‘আমাদের উচিত অতিমারী নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে মন দেওয়া। গত বছরের লকডাউনের থেকে এবারের ছবিটা আলাদা। গত বছর সব কিছু বন্ধ ছিল। কিন্তু এ বছর রাজ্যগুলি জানিয়েছে এবার গত বারের মতো সম্পূর্ণ লকডাউন করা হচ্ছে না। শিল্প কারখানায় কাজ হচ্ছে। ফলে এবার আর পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজ হারিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে না।’

জবাব চাওয়া হবে রাজ্য সরকারের কাছে:

সলিসিটর জেনারেল বলেন, সব রাজ্যগুলির এই বিষয়ে তৎপর হওয়া উচিত। রাজ্যগুলির কাছে জবাব চাওয়া হবে বলে জানালেন বিচারপতি অশোক ভূষণ। শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে দ্রুত কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি। এবারও অনেক শ্রমিক বাড়ি ফিরে গিয়েছেন বলেও জানান বিচারপতি এমআর শাহ।