Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

অভিষেকদের বিরুদ্ধে FIR-এর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ তৃণমূল

এফআইআর-এর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তা খারিজের দাবিতে শুক্রবারই ত্রিপুরা হাইকোর্টে তৃণমূলের পক্ষ থেকে পিটিশন দায়ের করা হয়েছে

অভিষেকদের বিরুদ্ধে FIR-এর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ তৃণমূল
খোয়াই থানায় তৃণমূল নেতারা। ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 13, 2021 | 7:50 PM

আগরতলা: ত্রিপুরা পুলিশের সঙ্গে ‘দুর্ব্যবহার’ করার অভিযোগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ৬ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল ত্রিপুরা পুলিশ। ঘটনার প্রেক্ষিতে এ বার ত্রিপুরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনটাই খবর তৃণমূল সূত্রে। ৬ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআর-এর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তা খারিজের দাবিতে শুক্রবারই ত্রিপুরা হাইকোর্টে তৃণমূলের পক্ষ থেকে পিটিশন দায়ের করা হয়েছে বলে খবর।

তৃণমূলের বক্তব্য, বিজেপির বারংবার হামলা তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। বিজেপি ভয় পেয়েই এই হামলাগুলি করেছে বলে মনে করছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, এফআইআর-এর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অতিমারি আইনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। কিন্তু বিজেপি মিছিল করছে। এমন দ্বিচারিতা কী ভাবে হয়? ঠিক যে সময় ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতৃত্ব ক্রমশ সক্রিয়তা বাড়াতে শুরু করেছেন, সেই সময় বিজেপির বিরুদ্ধে ঘাসফুলের আইনি লড়াই গোটা বিতর্ককে আলাদা মাত্রা দিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

কিন্তু কেন এই এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল? দিনকয়েক আগেই ত্রিপুরায় তৃণমূলের দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত-সহ একাধিক যুব নেতাকে আটক করা হয়। এরপর তাঁদের ছাড়াতে নিজেই ত্রিপুরায় যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরা পৌঁছে বাকি তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে খোয়াই থানায় বসে দীর্ঘক্ষণ পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় অভিষেককে। শেষ পর্যন্ত দেবাংশুদের জামিন মঞ্জুর করিয়ে বাংলায় ফিরে এলেও পরদিন অভিষেক ও বাকি তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এফআইআর রুজু করে খোয়াই থানা।

অভিযুক্তের তালিকায় নাম ছিল দোলা সেন, কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, সুবল ভৌমিক ও প্রকাশচন্দ্র দাসেরও। মূলত দু’টি ধারায় মামলা করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৬ ও ৩৪ নম্বর- এই দু’টি ধারায় সরকারি কাজে বাধা দান ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়।

অভিযোগপত্রে আরও একটি বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরেন খোয়াই থানার ওসি মনোরঞ্জন দেব বর্মা। তিনি লেখেন, ‘তৃণমূলের নেতারা পুলিশকে বিজেপির দালাল’ বলে থানার মধ্যে বসেই ‘দুর্ব্যবহার’ করেছিলেন। তবে পাল্টা তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, তাঁরা পুলিশের কোনও কাজেই বাধা দেননি। বরং তাঁরা পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কী ধারায়, কোন মামলায় তাঁদের দলে নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য ছিল, এই মামলা অত্যন্ত হাস্যকর। সেই মামলা থেকে মুক্ত হতেই এ বার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় তৃণমূলের সঙ্গে জোট করতে পারে সিপিএম? সম্ভাবনা নস্যাৎ না করে সীতারাম বললেন…