ফের বেনিয়ম! নয়া গ্রিভেন্স অফিসার পদে মার্কিন কর্মচারী নিয়োগ টুইটারের
Twitter: রবিবারই পদত্যাগ করেন ধর্মেন্দ্র চতুর। এরপরই আমেরিকা থেকে জেরেমি কেসেলকে নিয়ে এল টুইটার।
নয়া দিল্লি: টুইটারের (Twitter) সঙ্গে কেন্দ্রের সংঘাত অব্যাহত। নয়া ডিজিটাল আইন নিয়ে প্রথম দিন থেকেই কেন্দ্রের নিয়ম মানতে অরাজি টুইটার। পাল্টা নিয়ম কার্যকরী করতে বদ্ধ পরিকর কেন্দ্র। মামলা গড়িয়েছে আদালতেও। অবশেষে কেন্দ্রের ‘শেষ নোটিসে’ নিয়ম মানতে রাজি হয়েছিল টুইটার। সেই মতো নিয়োগ হয়েছিল গ্রিভেন্স অফিসার ধর্মেন্দ্র চতুরের। কিন্তু কেন্দ্রের চাপে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। এমতাবস্থায় টুইটারের তুরুপের তাস জেরেমি কেসেল। মার্কিন এই কর্মচারীই ভারতে টুইটারের গ্রিভেন্স অফিসার হিসেবে কাজ করবেন। কিন্তু কেন্দ্রের নয়া ডিজিটাল নীতিতে সাফ বলা রয়েছে, এই পদে থাকতে পারবেন একজন ভারতীয়ই। তাহলে কেন একজন মার্কিন কর্মচারীকে এই পদে বসাল টুইটার, উঠছে প্রশ্ন।
দিল্লি হাইকোর্টে টুইটার জানিয়েছিল, আইন বিশেষজ্ঞ ধর্মেন্দ্র চতুরকে গ্রিভিয়েন্স অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। পাল্টা কেন্দ্রের সাফ জবাব ছিল, এইধরনের স্থায়ী বিধিবদ্ধ পদের জন্য বাইরে থেকে কাউকে নিয়োগ করা চলবে না। তাই রবিবারই পদত্যাগ করেন ধর্মেন্দ্র চতুর। এরপরই আমেরিকা থেকে জেরেমি কেসেলকে নিয়ে এল টুইটার।
নয়া ডিজিটাল বিধি কার্যকরী হওয়ার পরে প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠাতে দেরি করেছিল টুইটার। উল্টে মত প্রকাশের স্বাধীনতার দাবি দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল জ্যাক ডোরসের সংস্থা। এই আবহেই কেন্দ্র টুইটারের কাছে থেকে আইনি রক্ষাকবচ তুলে নেয়। কেন্দ্র দাবি করে, প্রয়োজনীয় তথ্য় দিতে দেরি করায় টুইটার এই রক্ষাকবচ হারিয়েছে। তারপর অবশ্য টুইটারের মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রের সব নিয়ম মেনে চলার জন্য যা যা করণীয় সব করবেন তারা।
কিন্তু সংঘাত থামেনি। বরং সংঘাতে ঘি ফেলে গাজিয়াবাদের ঘটনা। সেখানে মুসলিম বৃদ্ধকে নিগ্রহের ঘটনাতেও পুলিশি জটিলতায় পড়েছে টুইটার। অনুরোধ করা সত্ত্বেও বিতর্কিত ভিডিয়ো সরিয়ে ফেলা বা বিকৃত বলে চিহ্নিত না করায় ভারতে টুইটারের অধকর্তা মনীশ মাহেশ্বরীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। লোনি থানায় হাজিরার জন্য তাঁকে এবং ধর্মেন্দ্র চতুরকে তলব করে পুলিশ। এই আবহেই দেশে নয়া গ্রিভেন্স অফিসার। এ বার পরিস্থিতি বদলাবে? সে দিকেই নজর গোটা দেশের।
আরও পড়ুন: নাগরিক অধিকার সুরক্ষার প্রশ্নের মুখে ফেসবুক-গুগলও, হাজিরা দিতে হবে সংসদীয় কমিটির সামনে