Covaxin: শেষ ধাপেই আটকে কোভ্যাক্সিনের অনুমোদন, ফের অতিরিক্ত তথ্য চাইল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
WHO on Covaxin's EUA: চলতি সপ্তাহের শেষভাগের মধ্যে হায়দরাবাদের ওই টিকা উৎপাদক সংস্থাকে তথ্য জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তাহলে ৩ নভেম্বরই শেষবারের জন্য় টিকার কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে পরীক্ষা করা যাবে।
জেনেভা: কোভ্যাক্সিন (Covaxin) নিয়ে জট কাটছে না কিছুতেই। মঙ্গলবার, ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech) সংস্থার কাছ থেকে ফের আরও কিছু তথ্যের ব্যাখ্যা চাইল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization)। এপ্রিল মাসেই জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের (Emergency Use Authorization) অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছিল উৎপাদক সংস্থা। শেষধাপে রিস্ক-বেনেফিট অ্যাসেসমেন্টের (Risk-Benefit Assessment) জন্যই এই অতিরিক্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
তৃতীয় দফার ট্রায়াল শেষ করার আগেই ভারতে জরুরিভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমতি পেয়েছিল কোভ্যাক্সিন টিকা। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন না থাকায় কোভ্যাক্সিন প্রাপ্ত ব্যক্তিরা বিদেশ যেতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছিলেন। চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল ভারত বায়োটেক সংস্থার তরফে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য আবেদন জানিয়েছিল। চলতি মাসের মধ্যেই এই অনুমোদন পাওয়ার কথা থাকলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রযুক্তিগত পরামর্শদাতা দল আগামী ৩ নভেম্বর শেষ পর্বের তথ্য যাচাইয়ের জন্য বসবে বলে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবারই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রযুক্তিগত পরামর্শদাতা দল ভারত বায়োটেক সংস্থার জমা দেওয়া যাবতীয় তথ্য পর্যালোচনা করে। পরে ই-মেইল করে সংস্থাকে অতিরিক্ত আরও কিছু তথ্য জানানোর অনুরোধ করা হয়। ওই ইমেইলে বলা হয়েছে, “প্রযুক্তিগত পরামর্শদাতা দল বা ট্যাগ আজ বৈঠক করে এবং সেখানে স্থির করা হয়েছে যে ভ্যাকসিনটিকে গোটা বিশ্বে জরুরু ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমতি দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত আরও কিছু ব্যাখ্যা চাই রিস্ক-বেনেফিট অ্যাসেসমেন্টের জন্য।”
চলতি সপ্তাহের শেষভাগের মধ্যে হায়দরাবাদের ওই টিকা উৎপাদক সংস্থাকে তথ্য জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তাহলে ৩ নভেম্বরই শেষবারের জন্য় টিকার কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে পরীক্ষা করা যাবে। উল্লেখ্য, টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ হল একটি স্বাধীন সংস্থা, যা যাবতীয় তথ্য পরীক্ষা ও যাচাই করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানায় সেই ভ্যাকসিনটি জরুরিভিত্তিতে প্রয়োগের জন্য উপযুক্ত কিনা।
মঙ্গলবারই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র ডঃ মার্গারেট হ্যারিস জানিয়েছিলেন যে কোভ্যাক্সিনকে বিশ্ব জুড়ে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমোদন দেওয়ার জন্য পরামর্শদাতার দল যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখছে। যদি কমিটি সন্তুষ্ট হয়, তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অনুমোদনের অনুমতি পাওয়া যেতে পারে। তবে বৈঠক শেষে আরও কিছু তথ্য চাইল কমিটি।
কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় দফার ট্রায়ালের পর উৎপাদক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, উপসর্গযুক্ত করোনার বিরুদ্ধে কোভ্যাক্সিন টিকা ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকর এবং নতুন ডেল্টা ভ্য়ারিয়েন্টকে রুখতে ৬৫.২ শতাংশ কার্যকর।
অল্প সময়ে তৈরি একটি ভ্যাকসিনেরস গুণগত মান, সুরক্ষা, কার্যকারিতা কত, তার উপর ভিত্তি করেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমোদন দেয়। এখনও অবধি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ফাইজ়ার-বায়োএনটেক, সেরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়ার কোভিশিল্ড, জনসন অ্যাড জনসন, মাডার্না ও সিনোফার্মকে জরুরিভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।
আরও পড়ুন: UP Polls: নেতাদের আঞ্চলিক সংবাদ মাধ্যমকে ব্যবহার করার নিদান প্রিয়াঙ্কার