China: চিনের হঠাৎ ভারত ‘প্রীতি’, নেপথ্যে কোন অঙ্ক?
China: গ্লোবাল টাইমস বলছে, ভারত এই দুটো ব্যাপারে নজর দিক। তা হলে দুই দেশ আরও অনেকটা এগোতে পারবে। দুই দেশের কাছেই নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে যাবে। কূটনীতিকরা বলছেন, চিন শুধু ডেপসাং ও ডেমচকে সমঝোতা করেই থামবে না। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আরও এগোতে চাইবে।
বেজিং ও নয়াদিল্লি: আমরা হাত বাড়িয়েই রেখেছি। ভারত হাতটা আরও একটু বাড়াক। ভারত-চিন বন্ধুত্বের নতুন পর্যায় শুরু হয়েছে। শীতের আগে তাতে আরও কিছুটা উষ্ণতা আসুক। চিনের গ্লোবাল টাইমস ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে যে সম্পাদকীয় লিখেছে, সেখানে উপরের দুটো লাইন লেখা হয়েছে।
দু-দেশের বন্ধুত্বে যে নতুন পর্যায় শুরু হয়েছে, তাতে আরও কিছুটা উষ্ণতা আসুক, চিন নাকি এটাই চাইছে। মানেটা কী? ডেমচক এবং ডেপসাং-এ সেনা প্রত্যাহারের পর আরও এগোনোর বার্তা দিল চিন? নাকি এর পিছনে অন্য কারণ? ভারত হাতটা আরও বাড়াক বলতে চিন কী বোঝাতে চাইল? গ্লোবাল টাইমসের সম্পাদকীয়তে লেখা হচ্ছে, ইউরোপ ও আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ায় ভারত বাধ্য হয়ে চিনের দিকে ঝুঁকেছে, এমন একটা ধারণা তৈরি হওয়া অমূলক নয়। তাই ভারত, চিনের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতিতে আদৌ কতটা আগ্রহী, সেটা ভারতকেই প্রমাণ করতে হবে। কীভাবে? গ্লোবাই টাইমসের দাবি, ভারতকে দুটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। এক, চিন নিয়ে ভারতের নাগরিকদের মনোভাব বদলের চেষ্টা করা। দুই, সীমান্ত সংঘাত থেকে ফোকাস বদলে আর্থিক ও সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানকে প্রাধান্য দেওয়া।
গ্লোবাল টাইমস বলছে, ভারত এই দুটো ব্যাপারে নজর দিক। তা হলে দুই দেশ আরও অনেকটা এগোতে পারবে। দুই দেশের কাছেই নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে যাবে। কূটনীতিকরা বলছেন, চিন শুধু ডেপসাং ও ডেমচকে সমঝোতা করেই থামবে না। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আরও এগোতে চাইবে। গ্লোবাল টাইমসের সম্পাদকীয় চিনের সেই অবস্থানই সামনে আনল। আসলে আমেরিকায় ট্রাম্পের ফিরত আসাটাই হয়তো অনেক অঙ্ক ওলট-পালট করে দিয়েছে। ট্রাম্প ফিরেছেন বলেই চিনকে আরও বেশি করে ভারতের দিকে তাকাতে হচ্ছে।
এই খবরটিও পড়ুন
আবার আমেরিকাও চিনের দিকে তাকিয়ে ঘুঁটি সাজানো শুরু করেছে। ট্রাম্প এখনও প্রেসিডেন্টের চেয়ারেই বসেননি। তার আগেই চিনের কথা মাথায় রেখে প্রশান্ত মহাসাগর নিয়ে যুদ্ধকালীন তত্পরতা শুরু হয়েছে মার্কিন প্রশাসনে। সাগরে সাতটি মার্কিন ঘাঁটির আধুনিকীকরণে আড়াই হাজার কোটি ডলার বরাদ্দ করতে পারে পেন্টাগন। এর মধ্যে নদার্ন মারিয়ানা দ্বীপে নৌ-ঘাঁটি তৈরিতে ৮০০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ হয়েছে। বিপুল বাজেট ঘাটতির মধ্যে নতুন করে এই খরচের কারণ? চিন এবং শুধুই চিন।