Maharashtra CM Aspirants: কলকাঠি নাড়ছে সঙ্ঘ! মায়ানগরীর মসনদে কে? শিন্ডে, ফড়ণবীস নাকি পওয়ার?
Maharashtra CM Aspirants: সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের ভাগ্য নির্ধারণ করতেই বিজেপির 'চাণক্য' অমিত শাহ এবং সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
ইতিমধ্যেই দু’দিন পার হয়ে গিয়েছে। মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিরোধীরা। বিজেপি নেতৃত্বাধীন ‘মহাযুতি’ জোট বিপুল আসনে জয় পেলেও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কেউই। তাহলে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? এখন মারাঠাভূমি ছাড়িয়ে এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে।
তুমুল টানাপোড়েনের মধ্যেই সোমবার দিল্লি উড়ে গিয়েছেন মহারাষ্ট্রের বিদায়ী মন্ত্রিসভার উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। আর তারপরেই আরও বেড়েছে জল্পনা। যদিও ফড়ণবীস জানিয়েছেন, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার মেয়ের বিয়ে উপলক্ষেই দিল্লি গিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের ভাগ্য নির্ধারণ করতেই বিজেপির ‘চাণক্য’ অমিত শাহ এবং সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
জানা গিয়েছে, ভোটের আগে থেকেই আরএসএস-এর সঙ্গে বেশ নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন ফড়ণবীস। এমনকী, প্রায় বার ছয়েক বৈঠকও করেন নাগপুরে। বিজেপির রণকৌশল কী হবে, তাও নাকি ঠিক করা হয় সেই বৈঠকেই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ফড়ণবীসকেই মুখ্যমন্ত্রীর আসনে দেখতে চাইছে বিজেপি এবং সঙ্ঘ।
অন্যদিকে, একনাথ শিন্ডে শিবিরের দাবি, লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রে খারাপ ফলের কারণ হল, বিজেপির বিরুদ্ধে মানুষের চাপা ক্ষোভ। কিন্তু আবার একনাথ শিন্ডের উপর ভরসা করেছেন সেই মানুষই। তাই বিধানসভা ভোটে ক্ষোভের প্রভাব পড়েনি। সুতরাং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনে করছেন, এবারেও কুর্সি থাকা উচিত শিন্ডে শিবিরের কাছেই।
প্রসঙ্গত, এখানে ‘বিহার মডেল’-এর উল্লেখ করে শিবসেনা মুখপাত্র নরেশ মাশকে সোমবার বলেন, “বিহার মডেল মেনে চলা উচিত। বিহারে যেমন বিজেপি আসন সংখ্যার দিকে না তাকিয়ে নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন, এখানেও তেমন একনাথকে মুখ্যমন্ত্রী করা উচিত।” এরই মধ্যে মেয়াদ শেষ হওয়ায় রাজ্যপালের কাছে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে এসেছেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী।
তবে অঙ্ক অতটাও সহজ নয়। মহারাষ্ট্র বিধানসভায় মোট আসন সংখ্যা ২৮৮। আর সরকার গড়তে প্রয়োজন ১৪৫টি আসন। কিন্তু এককভাবে কেউ সেই সংখ্যা পায়নি। বিজেপির ঝুলিতে আছে ১৩২টি আসন, একনাথ শিন্ডের শিবসেনা পেয়েছে ৫৭টি আসন এবং অজিত পওয়ারের কাছে রয়েছে ৪১টি আসন। সুতরাং সরকার গড়তে যে কোনও এক পক্ষের সমর্থন পেলেই চলবে বিজেপির।
তবে, এখনই জোট ভাঙতে চাইছে না কোনও পক্ষ। সূত্রের খবর, বিজেপি বৈঠকের মাধ্যমে ফড়ণবীসের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার বিষয়ে শিবসেনা এবং এনসিপি উভয়ের সমর্থন চায় বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছেড়ে দেওয়ার জন্য গোপনে বৈঠকে করছে বিজেপি। তবে যতক্ষণ না ঠিক হচ্ছে কুর্সি কার, ততক্ষণ চেয়ার নিয়ে ‘কাড়াকাড়ি’র বিষয়টি প্রকাশ্যে আনতে চায় না কোনও পক্ষই। যদিও জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই অজিত পওয়ারের এনসিপি জানিয়েছে ফড়ণবীস মুখ্যমন্ত্রী হলে সমর্থন করবে অজিত গোষ্ঠী।
শরিকদের সঙ্গে বৈঠকে যদি একমত হতে পারে, তাহলে দিল্লিতে বৈঠক ডেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের নাম ঘোষণা করা হতে পারে। তা না হলে কী হবে, সেই উত্তর অধরাই!