India As Emerging Market: পরিকাঠামোর উন্নয়ন থেকে বিনিয়োগ, যে কারণে এই দশকে অদমনীয় অর্থনীতিতে পরিণত হবে ভারত…
Indian Market Growth: ভারত সরকার ধীরে ধীরে আমদানির উপরে নির্ভরশীলতা কমিয়ে উৎপাদনের উপরে বেশি জোর দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বড় রফতানিকারকও হয়ে উঠছে। মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে কম্পিউটার, বাড়িতে ব্যবহৃত নানা যন্ত্র, টেলিকমিউনিকেশনে ব্যবহৃত যন্ত্র এখন ভারতেই তৈরি হচ্ছে।
ভারতীয় মার্কেট একদিকে যেমন আশাজনক, তেমনই আবার অনেকে হতাশও। আগামী দশক কি উজ্জ্বল হবে?
বৈশ্বিক শক্তি হিসাবে ভারতের উত্থান ধরা পড়েছে সম্প্রতিই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) মার্কিন সফরে (US Visit), যেখানে তিনি কংগ্রেসে বক্তব্য রেখেছেন, বিভিন্ন শিল্পপতি-উদ্য়োগপতিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন এবং হোয়াইট হাউসে নৈশভোজ সেরেছেন। গোটা দেশ ঘুরে এই ইঙ্গিতই মিলছে যে ভারত সঠিক দিশাতেই এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন উন্নয়নের নতুন রাস্তা দেখাচ্ছে।
বিশাল জনসংখ্যার দেশ ভারতে বিগত ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা রয়েছে, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিতে সাহায্য করেছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও মার্কেটের উত্থান-পতনের সম্ভাবনা থাকলেও আমরা আশাবাদী যে ভারত উন্নয়নের সঠিক দিশাতে এগিয়ে যাবে।
উন্নয়নের পথ তৈরি করে দিয়েছে যে পরিবর্তনগুলি-
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দায়িত্ব গ্রহণ করার পর তিনি ও তাঁর দল ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য অনুকূল এমন একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
১. আধার- বায়োমেট্রিক আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম অনেকটা আমেরিকার সোশ্যাল সিকিউরিটি নম্বরের মতো। আধার কার্ডের (Aadhaar Card) মাধ্যমে কোটি কোটি মানুষকে জাতীয় ডেটাবেসের অন্তর্ভুক্ত করা গিয়েছে।
২.জিএসটি– ২০১৭ সালে কেন্দ্রের আনা গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স (GST) এসে রাজ্যগুলির কর ব্যবস্থাকে উঠিয়ে দিয়েছে, যা আদতে অকার্যকর ছিল। ডিজিটালাইজড সিস্টেমের মাধ্যমে সরবরাহ চেইনের প্রতিটা ধাপে জিএসটির হিসাব রাখা যায়। জিএসটির কাণেই উৎপাদন ও শিল্পাঞ্চল ক্ষেত্রগুলি সরাসরি অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
৩.ইউপিআই– ২০১৬ সালে কেন্দ্রের আনা ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেস (UPI) তৎক্ষণা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যম। ব্যাঙ্কগুলিকে ইলেকট্রনিক ট্রানজাকশন করতে সাহায্য করে ইউপিআই।
পরিকাঠামোর উন্নয়ন-
ভারতের উন্নয়নের পথে সবথেকে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল পরিকাঠামোর অভাব। বিগত পাঁচ বছরে সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে রাস্তা, রেলপথ, বিমানবন্দর ও বন্দর তৈরি করতে। সম্প্রতিই একটি সমীক্ষাতেও জানা যায় যে অবশেষে কমদামে বাসস্থানের ব্যবস্থাও সম্ভব হয়েছে। ১০ বছর আগে সুরাট থেকে মুম্বই আসতে ১২ ঘণ্টা সময় লাগত, কিন্তু এখন ৬ লেনের হাইওয়ের মাধ্য়মে ৬ ঘণ্টাতেই সেই দূরত্ব অতিক্রম করা যায়।
উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ছে-
ভারত সরকার ধীরে ধীরে আমদানির উপরে নির্ভরশীলতা কমিয়ে উৎপাদনের উপরে বেশি জোর দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বড় রফতানিকারকও হয়ে উঠছে। মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে কম্পিউটার, বাড়িতে ব্যবহৃত নানা যন্ত্র, টেলিকমিউনিকেশনে ব্যবহৃত যন্ত্র এখন ভারতেই তৈরি হচ্ছে। অ্যাপেল আইফোন ১৪ তৈরি করছে ভারতে, জাপানের সংস্থা ডাইকিন ও মিৎসুবিসিও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য তৈরি করছে।
বাড়ছে বিনিয়োগেও সুযোগ-
রিয়েল এস্টেট থেকে শুরু করে ব্যাঙ্ক, নন-ব্যাঙ্ক সংস্থা, মোবাইল কমিউনিকেশন- সমস্ত ক্ষেত্রেই ক্রমাগত বিনিয়োগ বাড়ছে। এই সমস্ত ক্ষেত্রগুলিতেই উল্লেখযোগ্যভাবে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। নতুন নতুন উদ্ভাবনের ফলে ডিজিটাল অভ্যুত্থান হচ্ছে।