Rahul Gandhi: পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্বে কি তিনি? সাফ জবাব দিলেন রাহুল
Congress President election: উল্লেখ্য, চলতি বছর ১৭ নভেম্বর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। নির্বাচনের ঠিক দু'দিন পর থেকে ভোট গণনা হবে। চলতি মাসের ২৪ থেকে ৩০ তারিখ অবধি মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে।
নয়া দিল্লি: কংগ্রেসের নতুন সর্বভারতীয় সভাপতি (All India Congress President) নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে আলোচনা চলছে। ২১ সেপ্টেম্বের মধ্যে দলের নতুন সভাপতি নির্বাচনের কথা থাকলেও তার মেয়াদ আরও দু’মাস বাড়ানো হয়েছে। দলের একাংশের তরফে ‘অ-গান্ধী’ কাউকে সভাপতি নিয়ে আসার দাবি উঠেছে, তেমনই অন্য অংশের তরফে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) পুনরায় কংগ্রেস সভাপতি পদে ফিরিয়ে আনার দাবি তোলা হয়েছে। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। শুক্রবার কংগ্রেসের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি জানিয়েছেন, পুনরায় এই পদে দায়িত্ব নেওয়ার দৌড় থেকে তিনি সম্পূর্ণভাবে বাইরে বেরিয়ে যাননি।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে রাহুলেনর নেতৃত্বে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু করেছে কংগ্রেস। তার মাঝেই কংগ্রেস সভাপতির পদ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুখ খোলেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, “দলীয় নির্বাচন হলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে যে আমি কংগ্রেস সভাপতি হব কিনা। আমার কী করা উচিত তা নিয়ে আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। সেখানে কোনও দ্বিমত বা দ্বিধা নেই।” প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে গোটা দেশে খারাপ ফলাফল হওয়ার পর সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন রাহুল।
কংগ্রেসের এই ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ কর্মসূচি নিয়েও মুখ খুলতে শোনা যায় রাহুলকে। সাংবাদিকদের এদিন রাহুল বলেন, “আমি নিজের সম্পর্কে বেশ কিছু বিষয় বুঝতে পেরেছি। ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ থেকে দেশ সম্পর্কেও এই সুন্দর দেশ সম্পর্কে আমার বেশ কিছু নতুন ধারণা হয়েছে। যে দু-তিন মাস ধরে এই যাত্রা চলবে, তাতে আমার জ্ঞান আরও বাড়বে।”
উল্লেখ্য, চলতি বছর ১৭ নভেম্বর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। নির্বাচনের ঠিক দু’দিন পর থেকে ভোট গণনা হবে। চলতি মাসের ২৪ থেকে ৩০ তারিখ অবধি মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে। এই মুহূর্তে একের পর এক নেতার দলত্যাগের ঘটনায় চাপে রয়েছে দেশের শতাব্দী প্রাচীন দল। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গুলাম নবি আজাদের দলত্যাগের পর কংগ্রেসের অস্বস্তি আরও বেড়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রাজনৈতিক মহলের ধারণা আগামী দিনে দলের অন্দের বিক্ষুব্ধ বলে পরিচিত জি-২৩ গোষ্ঠীর আরও বেশ কিছু নেতা দলত্যাগ করতে পারে। কংগ্রেস ত্যাগের পর রাহুলের ‘বালখিল্যতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আজাদ। এমনকী রাহুলকে ‘অপরিণত’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন।