Partha Chatterjee: আরও এক সংস্থা, ১০০ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য পেশ ইডি-র, ফের জেল হেফাজতে পার্থ
Partha Chatterjee in ED Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ ও অর্পিতাকে গ্রেফতার করে ইডি। ইতিমধ্যে ২৮ দিন জেলে কাটিয়েছেন তাঁরা। আবারও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ।
কলকাতা: ৭০-এর কাছাকাছি বয়স। রয়েছে একাধিক শারীরিক সমস্যা। তাই প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে যাতে অবিলম্বে জামিন দেওয়া হয়, সেই আর্জিই এ দিন আদালতে জানিয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী। কিন্তু ফের একবার পার্থর আর্জি খারিজ হয়ে গেল। আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেন ইডি আদালতের বিচারক জীবন কুমার সাধু। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ফের আদালতে পেশ করা হবে পার্থ ও অর্পিতাকে। তবে সশরীরে হাজিরার যে আবেদন জানিয়েছিলেন পার্থ ও অর্পিতা, তা এ দিন খারিজ হয়ে গিয়েছে। এ দিন ভার্চুয়াল শুনানিতেই অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা।
‘পিঠে ব্যথা, ঘুম হয় না পার্থর’
পার্থর আইনজীবী হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন উল্লেখ করেছেন, অর্থপেডিক (হাড়ের সমস্যা), নেফ্রোলজিক্যাল (কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা) চিকিৎসা চলছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এ ছাড়া মানসিক সমস্যা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন আইনজীবী। রয়েছে পিঠে ব্যথা, ঠিক মতো ঘুমও হচ্ছে না পার্থর। আইনজীবী শ্বাসকষ্টের সমস্যার কথা জানান। এসএসকেএমের মেডিক্যাল রিপোর্টে এ সব সমস্যার উল্লেখ ছিল বলেও জানান তিনি।
‘কোম্পানির সঙ্গে কোনও যোগ নেই’
পার্থর আইনজীবী আরও দাবি করেন, যে টাকা বা সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে, তা যে পার্থর, সে কথা প্রমাণিত হয়নি। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে কোনও কিছুর সঙ্গেই পার্থর সরাসরি যোগ পাওয়া যায়নি বলেই দাবি করা হয়। যে সব সংস্থার নাম সামনে এসেছে, সেগুলি সম্পর্কেও পার্থ কিছু জানতেন না বলে দাবি করা হয়েছে। একই সঙ্গে জানানো হয়, কোনও সংস্থার নিয়ন্ত্রক ছিলেন না তিনি। আমেরিকায় এক মেয়ে ছাড়া পরিবারে আর কেউ নেই বলেও জানিয়েছেন আইনজীবী। তাঁর দাবি, ইডির দেওয়া কয়েকটি নথিতে শুধু পার্থ সই না করায় অসহযোগিতার কথা বলা হচ্ছে। তবে জেলে পার্থর কেনও অসুবিধা হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন আইনজীবী।
যে কোনও শর্তে জামিন চেয়ে পার্থর আবেদন, বাড়িতে নজরবন্দি হয়ে থাকতেও তাঁর কোনও আপত্তি নেই। পাশাপাশি, পার্থ যে এখন আর প্রভাবশালী নন, সে কথাও উল্লেখ করেছেন আইনজীবী।
‘এলআইসি-তে অর্পিতার আঙ্কল পার্থ’
ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি দাবি করেন, অর্পিতার সঙ্গে পার্থর যোগ পাওয়া গিয়েছে এলআইসি-র নথিতেই। প্রিমিয়ামের এসএমএস পার্থর কাছে আসত বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, জীবন বিমার নথিতে পার্থকে অর্পিতার ‘আঙ্কল’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
রায়পুর-সোনারপুরে জমির কথা উল্লেখ করে ইডি জানিয়েছে, ওই জমি কেনার টাকা গিয়েছিল ওই সব কোম্পানি থেকে, যেগুলির সঙ্গে পার্থর যোগ থাকা প্রমাণ মিলেছে। শুধু তাই নয়, সিমবায়োসিস মার্চেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক সংস্থার তথ্য আদালতে পেশ করেছে ইডি। জানানো হয়েছে ওই সংস্থার মাধ্যমে অন্তত ২ কোটি ৭০ লক্ষ কালো টাকা সাদা করা হয়। প্রায় ১০০ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে বলেও দাবি করেছে ইডি।
আর পার্থর প্রভাবশালী তত্ত্ব প্রসঙ্গে ইডির দাবি, পার্থ সত্যিই প্রভাবশালী। সে কারণেই হাসপাতালের যে রিপোর্ট শুধু আদালতে আসার কথা ছিল, সেটা ওঁর কাছে পৌঁছে গিয়ছে। তবে শারীরিক অসুস্থতার যুক্তি মানতে নারাজ ইডি। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এত বয়সে কো-মর্বিডিটি থাকাটা স্বাভাবিক, এটা এমন কিছু বড় বিষয় নয়।