Man Tried to Jump from Bridge: পার্ক সার্কাস ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা, বিরিয়ানির টানে শেষ অবধি করলেন সিদ্ধান্ত বদল!
Kolkata Police: বাইকে চেপে সায়েন্স সিটি যাচ্ছিলেন। দুপুর আড়াইটে নাগাদ হঠাৎ মাঝপথে ব্রিজের উপর বাইক থামিয়ে দেন। মেয়েকে বলেন যে পকেট থেকে ফোন পড়ে গিয়েছে। ফোন খোঁজার নাম করেই বাইক থেকে নামেন, এরপরই ব্রিজের রেলিংয়ে উঠে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি।

কলকাতা: বাড়িতে তুমুল অশান্তি। ব্যবসায় লাভ নেই, ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে স্ত্রীর সঙ্গে। আর্থিক-মানসিক চাপে বিপর্যস্ত হয়েই জীবন শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বছর চল্লিশের এক ব্যক্তি। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। ঝাঁপ দিতে গিয়েছিলেন পার্ক সার্কাস ব্রিজ থেকে। কিন্তু শেষ অবধি বিরিয়ানির টানে সিদ্ধান্ত বদল করলেন। ওই ব্যক্তিকে ব্রিজ থেকে নামাতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। প্রায় আধ ঘণ্টা বোঝানোর পর ব্রিজ থেকে নামতে রাজি হন ওই ব্যক্তি। হাপ ছেড়ে বাঁচেন কড়েয়া থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপুরে। আড়াইটে নাগাদ পথচলতি লোকজন খেয়াল করেন এক ব্যক্তি ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কড়েয়া থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হয় বিপর্যয় মোকাবিলা গ্রুপ ও দমকলেও। শেষ অবধি আধ ঘণ্টার চেষ্টায় ব্রিজ নামানো হয় ওই ব্যক্তিকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চাকরির প্রতিশ্রুতি ও বিরিয়ানির প্যাকেটের লোভ দেখিয়েই সিদ্ধান্ত বদল করানো হয় ওই ব্যক্তির।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। স্ত্রী ছোট মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকে, বড় মেয়ে থাকে তাঁর সঙ্গে। বিচ্ছেদের থেকেই মানসিক দিক থেকে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় আর্থিক কষ্টও ছিল। সোমবার দুপুরে তিনি বড় মেয়েকে নিয়ে বের হন। বাইকে চেপে সায়েন্স সিটি যাচ্ছিলেন। দুপুর আড়াইটে নাগাদ হঠাৎ মাঝপথে পার্ক সার্কাস ব্রিজের উপর বাইক থামিয়ে দেন। মেয়েকে বলেন যে পকেট থেকে ফোন পড়ে গিয়েছে। ফোন খোঁজার নাম করেই বাইক থেকে নামেন, এরপরই পার্ক সার্কাস ব্রিজের লোহার রেলিংয়ে উঠে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি।
নীচ থেকে পথচলতি কয়েকজন ওই ব্যক্তিকে দেখতে পেয়েই পুলিশে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও দমকল এসে পৌঁছয়। ওই ব্যক্তির মেয়ের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারেন আর্থিক সমস্যার কথা। এরপরে দীর্ঘক্ষণ ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে তাঁকে বোঝান পুলিশ অফিসাররা। শেষ অবধি চাকরির প্রতিশ্রুতি ও বিরিয়ানি খাওয়ানোর টোপ দেওয়া হয়। এরপরই নেমে আসেন ওই ব্যক্তি। তাঁকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
গোটা ঘটনার জেরে প্রায় আধ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল বলেই জানা গিয়েছে।





