Nabanna: শীঘ্রই আসছে একশোদিন-আবাসের টাকা? কেন্দ্র-রাজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে মিলল সমাধান সূত্র?
Nabanna: বৈঠক শেষে মঙ্গলবারই কলকাতায় ফিরছেন রাজ্যের সচিবরা। কলকাতায় এসেই বৈঠকের নির্যাস সম্পর্কে রিপোর্ট জমা দেবেন মুখ্যসচিবকে। তারপর তিনি তা পাঠাবেন মুখ্যমন্ত্রীকে। নবান্ন সূত্রে খবর, কেন্দ্রের তরফে করা সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বাংলার সচিবরা।

কলকাতা: একশোদিনের কাজের বকেয়া দিচ্ছে না কেন্দ্র। লাগাতার এই অভিযোগ জানিয়ে আসছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। পথেও নেমেছে শাসকদল। এরইমধ্যে এবার ১০০ দিনের কাজের বকেয়া নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়ে গেল। রাজ্যের সচিব পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব শৈলেশ কুমার সিং। হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সচিবরাও। সূত্রের খবর, ১০০ দিনের কাজের কেন্দ্রীয় সরকার যে অভিযোগ তুলেছে তার প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট তুলে ধরা হয়।
কেন্দ্রীয় বকেয়ার কারণে মানুষ কীভাবে বঞ্চিত হচ্ছে তার সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রভিত্তিক রিপোর্টও তুলে ধরা হয় বৈঠকে। বৈঠক শেষে মঙ্গলবারই কলকাতায় ফিরছেন রাজ্যের সচিবরা। কলকাতায় এসেই বৈঠকের নির্যাস সম্পর্কে রিপোর্ট জমা দেবেন মুখ্যসচিবকে। তারপর তিনি তা পাঠাবেন মুখ্যমন্ত্রীকে। নবান্ন সূত্রে খবর, কেন্দ্রের তরফে করা সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বাংলার সচিবরা। এমন কোনও প্রশ্ন ছিল না যার উত্তর দিতে গিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন নবান্নের পাঠানো প্রতিনিধি দল। তবে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে কি না তার উত্তর পেতে সময়ের উপরেই ভরসা করার কথা বলছেন কেউ কেউ।
সূত্রের খবর, রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের আধিকারিকরা নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসেছেন। কিন্তু সেই বৈঠকের নির্যাস সম্পর্কে কেউই কিছু জানাননি। সে কারণেই তা নিয়ে একটা চাপা চাপানউতর চলছেই প্রশাসনিক মহলের অন্দরে। বৈঠক সফল হয়েছে কি হয়নি তা বলার মতো পরিস্থিতি এখনও আসেনি বলে জানাচ্ছেন বাংলার এক আধিকারিক। তবে তাঁর বক্তব্য, উত্তর তো আমরা আগেও দিয়েছি। কিন্তু কেন্দ্র শুধু নানা অজুহাত দিয়ে চলেছে।
১০০ দিনের কাজে যে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সেগুলির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হয়েছে কি না, হলে গ্রেফতার করা হয়েছে কি না, আবাসের অনিয়মের ক্ষেত্রেও একই তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে বাংলার আধিকারিকদের থেকে। এমনটাও খবর মিলেছে নবান্নের তরফে। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের লোগো ব্যবহার নিয়ে রাজ্যের ভাবনার কথাও জানতে চাওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর।





