Kolkata Hospital: মধ্যরাতে ‘মিরাকল’, মেশিনে বাদ পড়া তিন আঙুল ফিরে পেলেন নদিয়ার সনৎ পাল
Kolkata Hospital: নদিয়ার বাসিন্দা সনৎ পাল কাজ করতেন ঝাড়গ্রামের পেপার মিলে। গত ১০ জানুয়ারি ঘটনাটি ঘটে।
কলকাতা : পেশায় শ্রমিক। কাজ করেন কাগজ তৈরির কারখানায়। কিন্তু সেই পেশাই ডেকে আনে অভিশাপ। অসাবধানতায় পেপার কাটার মেশিনেই হাত পড়ে যায় বছর ৪৮-এর সনৎ পালের। ডান হাতের তিনখানা আঙুল কাটা পড়ে। ওই হাতের আরও একটি আঙুলেও গুরুতর চোট পান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হলেও ডান হাত দিয়ে আর কোনওদিন কাজ করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। ঝাড়গ্রাম থেকে তিনি ছুটে আসেন কলকাতায় (Kolkata)। চিকিৎসকের দক্ষতায় তিনি ফিরে পেয়েছেন সেই তিনটি আঙুল। সময় লাগলেও, আবারও ওই ডান হাতেই কাজ করার আশা দেখছেন তিনি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁদের প্রচেষ্টা সফল। আপাতত ভালই আছেন সনৎবাবু।
গত ১০ জানুয়ারি ঘটনাটি ঘটে। নদিয়ার বাসিন্দা সনৎ পাল কাজ করতেন ঝাড়গ্রামের পেপার মিলে। ১০ তারিখ কাজ করার সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে। তাঁকে দ্রুত স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর সনৎবাবুকে কলকাতার কোনও সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার কথা বলা হয়। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে চান সনৎ বাবু। রাত ১২ টা নাগাদ ওই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসকেরা খতিয়ে দেখে অবিলম্বে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন।
রাত ২ টো নাগাদ চিকিৎসক অখিলেশ আগরওয়ালের নেতৃত্বে শুরু হয় অস্ত্রোপচার। প্লাস্টিক সার্জারির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ড. আগরওয়াল জানান, প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে চলে অস্ত্রোপচার। ওই ব্যক্তির ডান হাতে তিনটি আঙুলই প্রতিস্থাপিত করা সম্ভব হয়। আর একটি ক্ষতিগ্রস্ত আঙুলেও রক্ত চলাচলা স্বাভাবিক করা হয়।
চিকিৎসক জানিয়েছেন, নিজের তিনটি আঙুলেও আস্তে আস্তে অনুভূতি ফিরে পাচ্ছেন সনৎবাবু। আপাতত তিন সপ্তাহ ডানহাত সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখার কথা বলা হয়েছে। ওই হাতে এখনও কোনও কাজ করা যাবে না। এরপর ক্রমশ সচল ও স্বাভাবিক হবে হাত। গত শনিবারই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে সনৎবাবুকে। যেটুকু সমস্যা আছে, সেটা দ্রুত সেরে যাবে বলে আশাবাদী সনৎ পাল।