Abhijit Sarkar Death Case: অভিজিৎ সরকার খুনের মামলা, সিবিআই দফতরে হাজিরা পরেশ পালের

Abhijit Sarkar Death Case: সিবিআই-এর কাছে গোটা বিষয়টি জানিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। এরপরই পরেশ পাল ও স্বপন সমাদ্দারকে ডাকা হয়। বুধবার সকালে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরকে নিয়ে পরেশ পাল সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন।

Abhijit Sarkar Death Case: অভিজিৎ সরকার খুনের মামলা, সিবিআই দফতরে হাজিরা পরেশ পালের
সিবিআই দফতরে পরেশ পাল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 18, 2022 | 12:30 PM

কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিজিৎ সরকার খুনের মামলায় সিবিআই দফতরে বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল। বুধবার সকাল ১০টা ১৮ মিনিট নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছেছেন তিনি। পরেশ পাল আসার আগেই নিহত অভিজিৎ সরকারের দাদা  বিশ্বজিৎ সরকার সিবিআই দফতরে এসে হাজির হন। প্রসঙ্গত অভিজিতের দাদা প্রথম থেকেই এই মামলায় পরেশ পালের নাম নিয়ে আসছিলেন। বিশ্বজিৎ দাবি করেছেন, পরেশ পাল জনসভায় দাঁড়িয়েই হুমকি দিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, “পরেশ পাল হুমকি দিয়েছিলেন, দুই ভাইকে যমের দক্ষিণ দুয়ারে পাঠিয়ে দেব।” সিবিআই-এর কাছে গোটা বিষয়টি জানিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। পরেশ পালকে তলব করার দাবি জানিয়ে এর আগে সিজিও কমপ্লেক্সে ধর্নাতেও বসেন তিনি। এরপরই পরেশ পাল ও স্বপন সমাদ্দারকে ডাকা হয়। বুধবার সকালে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরকে নিয়ে পরেশ পাল সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত আসেননি স্বপন সমাদ্দার।

অভিজিতের দাদা বিশ্বজিত বলেছেন, “তদন্তে যেন দেরি না হয়। প্রয়োজন পড়লে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে পারেন তদন্তকারীরা। তাই আমি সিবিআই দফতরে এসেছি। বিচারের আশা করছি। যতদিন না বিচার পাব, লড়াই চালাব।”  বিশ্বজিতের দাবি, দ্রুত তদন্ত শেষ করতে হবে। এর আগে কখনও শিয়ালদহ আদালতে, কখনও কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে দেখা গিয়েছে বিশ্বজিৎ সরকারকে। সিবিআই তদন্ত ভার নেওয়ার পর থেকেই এই ঘটনায় একাধিকবার অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। কখনও বিশ্বজিতের বাড়িতে গিয়েছেন তাঁরা, কখনও সিবিআই দফতরে হাজির হয়েছেন বিশ্বজিৎ নিজে।

উল্লেখ্য, ভোট গণনার পরের দিনই মৃত্যু হয় বেলেঘাটার বাসিন্দা বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের। গলায় তার পেঁচানো অবস্থায় উদ্ধার হয় অভিজিৎ সরকারের মৃতদেহ। তাঁর পরিবার প্রথম থেকেই দাবি তোলে, বিজেপি করায় অভিজিৎকে খুন করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে নিহতের পরিবার। তদন্তের স্বার্থে তাঁর দেহ সৎকার করা হয়নি। ১৩৬ দিন পর সৎকারের অনুমতি পায় পরিবার।