Abhishek Banerjee: আশা হারানো যাবে না, দীপাবলিতে ন্যায়ের প্রশ্নে লড়াইয়ের আহ্বান অভিষেকের
TMC: তৃণমূলের শীর্ষ নেতার এই টুইট নজর কেড়েছে রাজনৈতিক মহলের। গত ২ নভেম্বর উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পর বিজেপিকে উল্লেখ করে টুইটে তৃণমূল সাংসদ লিখেছিলেন, "যথার্থই বাজিহীন দীপাবলি! সকলকে শুভেচ্ছা।"
কলকাতা: বঙ্গ উপনির্বাচন মিটেছে। রাজ্যে আসন্ন পুরভোট। জাতীয় রাজনীতিতেও বিস্তর পটপরিবর্তন। ইতিমধ্যেই গোয়া সফর সেরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সংগঠন তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল আগেই। সফরে গিয়ে রাজনৈতিক চমকও দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তবে শুধু পরিচিত মুখ দিয়েই রাজনীতি হয় না, অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে গেলে শিকড়ে পৌঁছতে হবে। সম্ভবত সেই কাজ করতেই আগামী ১০ নভেম্বর গোয়ার মাটিতে পা রাখতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। দীপাবলির সকালে অভিষেকের টুইটে যেন ঝলসে উঠল সেই ‘আগামীর ডাক’।
এদিন অভিষেক টুইট করে লেখেন, “সকলকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাই। আলোর উৎসবে ছড়িয়ে পড়ুক ভালোবাসা, শান্তি ও সমৃদ্ধি। যখন আমরা অন্ধকারে আলোর জয় উদযাপন করি , তখন আমাদের সবসময় মনে রাখা উচিত, কখনওই আশা ছেড়ে দেব না। আসুন, আমরা আরও বেশি শক্তি ও নতুন উদ্যমে জীবনে এগিয়ে যাওয়ার শপথ নিই।”
Wishing everyone a very Happy Diwali! May the festival of lights spread love, peace & prosperity.
As we celebrate the triumph of light over darkness, let us always remember to never give up hope. Let us remember to keep going ahead in life with even more energy and optimism.
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) November 4, 2021
আরও একটি টুইটে তৃণমূল নেতা লেখেন, “সকলকে কালীপুজোর শুভেচ্ছা। দেবী কালী যেন আমাদের ন্যায়ের জন্য লড়াই করার অপরিমেয শক্তি দেন, যাতে আমরা অশুভ শক্তিকে জীবন থেকে নির্মূল করতে পারি।”
Greetings to all on Kali Pujo!
May Goddess Kali bless everyone with immense strength to fight for justice, to eradicate all evil from our lives.
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) November 4, 2021
বস্তুত, তৃণমূলের শীর্ষ নেতার এই টুইট নজর কেড়েছে রাজনৈতিক মহলের। গত ২ নভেম্বর উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পর বিজেপিকে উল্লেখ করে টুইটে তৃণমূল সাংসদ লিখেছিলেন, “যথার্থই বাজিহীন দীপাবলি! সকলকে শুভেচ্ছা।”
ফের, টুইটে তৃণমূল নেতার ‘আশা না হারানো’ ও ‘ন্যায়ের লড়াইয়ের বার্তা’ বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১০, ১১ ও ১২ নভেম্বর গোয়া সফরে যাবেন অভিষেক। সেখানে তাঁর একাধিক দলীয় কর্মসূচি থাকবে বলেই জানা যাচ্ছে।
ইতিমধ্যেই গোয়া সফর সেরেছেন মমতা। আর তাঁর সফরের পর গোয়ার আঞ্চলিক দল, গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির তৃণমূলের হাত ধরার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সেই সম্ভাবনা এগিয়ে নিয়ে যেতেই এবার অভিষেকের গোয়া সফর বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
২০২২-এর ফেব্রুয়ারিতে গোয়ায় বিধানসভা ভোট। তার আগে, ঘর গুছিয়ে নিতে চাইছে তৃণমূল। এমনকি সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রাক্তন টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ ভোটে লড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। মমতার গোয়া সফরের পর একের পর এক বিরোধী নেতা সফরে ক্রমেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে গোয়া। রাহুল গান্ধীর পর এবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরীবাল একদিনের সফরে সৈকত শহরে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, সদ্যই ত্রিপুরাতে সভা করে এসেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্টই জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় তৃণমূলের খুঁটি পুজো করা হয়েছে। এরপর দুয়ারে গুণ্ডা নয়, সরকার আনবে তৃণমূল। অভিষেকের সভার আগেও ত্রিপুরায় গিয়েছেন একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব।
কিন্তু ত্রিপুরার পুরভোটে অর্ধেক আসনেও প্রার্থী দিতে পারেনি তৃণমূল। আগরতলা পুরসভ র ৫১ আসনে প্রার্থী দেওয়া তৃণমূল বলছে তাদের এবার মূল ফোকাস এখানেই। জানা গিয়েছে, আগরতলা পুরভোটে ৫০ শতাংশ প্রার্থীই মহিলা। আগরতলায় মোট ৫১ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৫ জনই মহিলা প্রার্থী।
সুস্মিতা দেবরা জানাচ্ছেন, বারবার বিরোধীদের উপর সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করছে বিজেপি। আগরতলার সব আসনে প্রার্থী দিতে পারাটাই তাদের জয়ের প্রথম ধাপ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনুমান, তৃণমূলের বারবার গোয়া ও ত্রিপুরা সফরের নেপথ্যে রয়েছে জাতীয় স্তরে দলের পরিচিতি ও সংগঠন মজবুত করা।
ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এখন থেকেই বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বিশেষ উদ্য়োগী ঘাসফুল। গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয়ে পর পর যদি পদ্ম শিবিরকে হারানো যায় তবে লোকসভা নির্বাচনে তা বড় ফ্যাক্টর হতে পারে বলেই মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ।
আরও পড়ুন: Jagdeep Dhankhar: দীপাবলিতে ‘টুইট-যুদ্ধ’ নয়, ‘মানবতার বার্তা’ রাজ্যপালের