Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মীনাক্ষী-বিকাশের ফেসবুক পোস্টের পর নিজের বইতে কংগ্রেসকে নিশানা কান্তির, তুললেন খুনের চক্রান্তের অভিযোগ!

Kanti Ganguly: এবার বই প্রকাশের আগে কান্তি-ঝড়। কান্তির বইের ছত্রে ছত্রে '৭২-এর 'কংগ্রেসি সন্ত্রাসের' কথা উল্লেখ রয়েছে। '৭২-এর নির্বাচনকে প্রহসন বলে আখ্যা দিয়েছেন তাঁর বইতে।

মীনাক্ষী-বিকাশের ফেসবুক পোস্টের পর নিজের বইতে কংগ্রেসকে নিশানা কান্তির, তুললেন খুনের চক্রান্তের অভিযোগ!
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jul 04, 2021 | 11:06 PM

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ: মীনাক্ষী মুখার্জির ‘কংগ্রেসী ঘাতক বাহিনী’, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের ‘কংগ্রেসী গুন্ডা’-র পর এবার কংগ্রেসকে নিশানা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের। তবে এবার আর সোশ্যাল মিডিয়ায় নয়, নিজের লেখা বইতে কংগ্রেসকে তুলোধোনা প্রাক্তন মন্ত্রীর।

কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ‘রক্ত পলাশের আকাঙ্খায়’ নামে বইটি প্রকাশিত হওয়ার কথা আগামী ৮ জুলাই। সেই বই প্রকাশ্যে আসার আগেই শুরু হল রাজনৈতিক বিতর্ক। কান্তির বইের ছত্রে ছত্রে ‘৭২-এর ‘কংগ্রেসি সন্ত্রাসের’ কথা উল্লেখ রয়েছে। ‘৭২-এর নির্বাচনকে প্রহসন বলে আখ্যা দিয়েছেন তাঁর বইতে। এমনকি তাঁকে খুনের চক্রান্ত করা হয়েছিল বলে বিস্ফোরক কান্তি।

আগামী ৮ জুলাই এই বই প্রকাশে আমন্ত্রিত পিডিএস এবং লিবারেশনের নেতারা। এদিকে সংযুক্ত মোর্চা আছে কি নেই কেউ জানে না। তবে সিপিএম অন্তত এখনও ঘোষণা করেনি যে তারা মোর্চা ভেঙেছে। সেই সময়ে দাঁড়িয়ে কান্তির প্রকাশিত হতে চলা বইয়ে জোট শরিক কংগ্রেসকে তুলোধোনা নিয়ে ফের বিতর্ক তৈরি হতে চলেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে সাঁইবাড়ি কাণ্ড নিয়ে বিতর্ক উস্কে দেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য ও মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। নিজের ফেসবুক পোস্টে সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ড নিয়ে মতামত রেখেছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। সেখানে একাধিক জায়গায় ‘কংগ্রেসী গুন্ডা’ শব্দের ব্যবহার ছিল। যা নিয়ে উত্তাল হয় সোশ্যাল মিডিয়া। সেই ফেসবুক তরজা এবার গড়ায় চিঠিচাপাটির পর্যায়ে। বিকাশরঞ্জনের পোস্টের সঙ্গে সিপিএম একই মত পোষণ করে কি না তা জানতে চেয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রকে চিঠি দেয় প্রদেশ কংগ্রেস।

সেই বিতর্ক মিটতে না মিটতেই নন্দীগ্রামে মমতার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো মোর্চা প্রার্থী মীনাক্ষীর ফেসবুক পোস্ট নিয়ে শুরু হয় আর এক বিতর্ক। এ পোস্টে লেখা হয়, “১৯৭১ সালের ১২ ই জুন সাঁই বাড়ির কুখ্যাত গুন্ডা নব সাঁই এর নেতৃত্বে কংগ্রেসী ঘাতক বাহিনী খণ্ডঘোষের থানার গোটা আহ্লাদিপুর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়ে খুন করে ৪ জন কমরেডকে। শহীদ দিবসে ৪ বীর শহীদকে শ্রদ্ধা জানাই। লাল সেলাম শহীদ কমরেড : সৈয়দ মির্জ্জা,আনসার মির্জ্জা, শিবুরাম, শরৎ দলুই।” যদিও ওই পোস্ট নিয়ে মীনাক্ষী ব্যাখ্যা দেন তাঁর প্রোফাইল হ্যাক করা হয়েছিল। এই প্রেক্ষিতে প্রকাশিত হতে চলেছে কান্তির বই।

উল্লেখ্য, গত ২ মে বিধানসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন সিপিএমের দু’জন নেতা। একজন দমদম উত্তর কেন্দ্রের প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য, অন্যজন কান্তি। কান্তি বলেছিলেন, ‘‘মৌলবাদী শক্তিকে রুখে দিয়ে বাংলার মানুষ সচেতনতার পরিচয় দিয়েছেন। তা সে যে নেতৃত্বের মাধ্যমেই হোক না কেন। সংযুক্ত মোর্চা মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে পারেনি।’’ এমনকি তিনি এও বলেন,‘‘সংযুক্ত মোর্চা ধর্মীয় ফ্যাসিবাদকে রুখতে পারবে মানুষের এই বিশ্বাস আমরা অর্জন করতে পারিনি। এই বিষয়টা ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব বসে অনুসন্ধান করবেন। সেই অনুসন্ধান যেন অবশ্যই বস্তুনিষ্ঠ অনুসন্ধান হয়। গোল গোল কথা বললে হবে না।’’

আরও পড়ুন: মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সিপিএম নেতৃত্বকে তুলোধোনা করে একের পর এক পোস্ট! তড়িঘড়ি হচ্ছে ডিলিটও

তার পর কয়েকদিন আগে রাজ্য কমিটির বৈঠকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের সঙ্গে জোর কথা কাটাকাটির মতো পরিস্থিতি হয় কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের। যেভাবে দল পরিচালিত হচ্ছে এবং জোট গড়া নিয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় তাঁদের। প্রয়োজনে দলের যে সমস্ত কমিটি রয়েছে তা ভেঙে দেওয়ার পক্ষে কান্তি সওয়াল করেন বলে সূত্রের খবর। তার মধ্যে কান্তির নয়া বইতে ঝড়ের ইঙ্গিত দেখছে ওয়াকিবহাল মহল।