AITC Youth: মঙ্গলে ফুটবল হাতে রাজ্যজুড়ে মিছিল যুব তৃণমূলের, সুকান্তকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি
AITC: মঙ্গলবার রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে স্বামীজীর ছবি ও মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানাবেন তৃণমূলের যুবনেতারা। একটি করে ফুটবল নিয়ে মিছিল করবেন তৃণমূলের যুবনেতারা। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, "সুকান্ত মজুমদার স্বামী বিবেকানন্দকে অপমান করেছেন। আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সুকান্ত মজুমদারকে প্রকাশ্যে তাঁর মন্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে।"
কলকাতা: স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি অপমানজনক মন্তব্য করেছেন বলে রবিবারই দাবি করেছিলেন ব্রাত্য বসু, শশী পাঁজা, কুণাল ঘোষরা। সুকান্ত মজুমদারকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলেন তাঁরা। এবার সুকান্তের বক্তব্যের প্রতিবাদে প্রতি শহরে, ব্লকে ব্লকে মিছিলের ডাক দিল যুব তৃণমূল। মঙ্গলবার কলকাতায় থাকছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর ঠিক এইদিনই প্রতিবাদ মিছিলে নামছে শাসকদল। কলকাতায় এই মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ।
মঙ্গলবার রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে স্বামীজীর ছবি ও মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানাবেন তৃণমূলের যুবনেতারা। একটি করে ফুটবল নিয়ে মিছিল করবেন তৃণমূলের যুবনেতারা। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “সুকান্ত মজুমদার স্বামী বিবেকানন্দকে অপমান করেছেন। আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সুকান্ত মজুমদারকে প্রকাশ্যে তাঁর মন্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে।”
পাল্টা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমি বারবার বলব ভিডিয়োটা একবার চালিয়ে দেখে নিতে। ‘যারা এখন’ বলেছি। যারা এখন মানে বিবেকানন্দ তো নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা যে কথা বলছেন, অর্ধসত্য বলছেন। বিবেকানন্দ বলছেন ফুটবল খেলে আগে শক্তিশালী হও। তবেই তুমি গীতার বাণীকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। তৃণমূলের নেতাদের অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী। আমি কেন ক্ষমা চাইব? তৃণমূল কংগ্রেসকে মূর্খ বলেছি বলে ক্ষমা চাইব? মূর্খদের কাছে কেউ ক্ষমা চায় নাকি?”
সুকান্ত মজুমদার ঠিক কী বলেছিলেন যা নিয়ে এত বিতর্ক? রবিবার কুণাল ঘোষ একটি অডিয়ো শোনান সংবাদমাধ্যমে। তাঁর দাবি সুকান্ত মজুমদার বলছেন, “বাংলা বহু যুগ ধরে এই সনাতন সংস্কৃতির ধারক বাহক। ভক্তি আন্দোলনের পীঠস্থান ছিল। মাঝে বাংলা কিছুটা পথভ্রষ্ট হয়েছিল বামপন্থীদের দ্বারা। এখন দেখতে পাচ্ছেন না অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী? গীতাপাঠের থেকে ফুটবল খেলা ভাল যাঁরা বলছেন, তাঁরা ওই বামপন্থী প্রোডাক্ট আর কী। এখন বাংলা সঠিক পথে যাবে। আজকে থেকে শুরু হচ্ছে সঠিক পথে যাওয়া।” এই নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। এ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, বিবেকানন্দ কিংবা বাংলার মনীষী, কোনও চর্চাই বিজেপির নেই। কোনও খোঁজ খবর রাখেন না, বিজেপি নেতা হয়ে গিয়েছেন।