TMC infights : খাস কলকাতায় তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ, নোনাডাঙার বস্তিতে ভাঙচুর ও লুঠপাটের অভিযোগ

TMC : বস্তিতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। একাধিক বাড়িতে ভাঙচুর ও লুঠপাট চালানোর অভিযোগ উঠেছে। যাঁদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে, তাঁরাও তৃণমূল কর্মী। তাঁরা নিজেদের জাভেদ খানের অনুগামী বলে দাবি করে।

TMC infights : খাস কলকাতায় তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ, নোনাডাঙার বস্তিতে ভাঙচুর ও লুঠপাটের অভিযোগ
খাস কলকাতায় তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 02, 2022 | 3:36 PM

কলকাতা : শহর কলকাতায় ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ। নোনাডাঙা লেকপল্লিতে শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডে। এলাকার বস্তিতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। একাধিক বাড়িতে ভাঙচুর ও লুঠপাট চালানোর অভিযোগ উঠেছে। যাঁদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে, তাঁরাও তৃণমূল কর্মী। তাঁরা নিজেদের জাভেদ খানের অনুগামী বলে দাবি করেন। ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকাবাসীরা। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, “গতরাতে স্থানীয় কাউন্সিলরের নাম করে এসে কিছু লোক আমাদের বাড়ি ভাঙচুর করে গিয়েছে। এমনকী মা তারা সিন্ডিকেটের নামও নেওয়া হয়েছে।” উল্লেখ্য, এই মা তারা সিন্ডিকেটটি কাউন্সিলর অনুগামীরাই চালায় বলে অভিযোগ জাভেদ গোষ্ঠীর।

এক বস্তিবাসীর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। বস্তি খালি করে চলে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। কথা না মানলে বস্তিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হবে বলে শাসানো হয়েছে, এমন অভিযোগও করছেন এলাকাবাসীদের একাংশ। অতীতেও দুই-চার মাস আগে এমন ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মাঝে মধ্যেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর প্রকাশ্যে আসছে। এরই মধ্যে এবার খাস কলকাতায় তৃণমূলের দুই নেতার অনুগামীদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, তাঁরা জাভেদ খানের অনুগামী বলে স্থানীয় কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের অনুগামীরা এলাকায় এসে রীতিমতো তাণ্ডব চালায়। মঙ্গলবার রাতে প্রায় ২০-২৫ জন দুষ্কৃতী হামলা চালায়। যে বাড়িগুলিতে দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়েছিল, সেগুলির ভিতরে তাণ্ডবের চিত্র এখনও স্পষ্ট। ফ্রিজ উল্টে পড়ে রয়েছে। কাচ ভেঙে পড়ে রয়েছে। বাইক ভাঙচুর করা হয়েছে।

ঘটনাটি নিয়ে কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে আমাকে শুধু শুধু জড়ানো হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ পাড়ার ঝামেলা। এখানে আমি কিংবা আমার কেউ জড়িত নেই। তারপরও আমার নাম জড়ানো হয়েছে।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় এক কিশোর এক ব্যক্তির বাড়ির গাছ থেকে আম এবং লিচু চুরি করে খায়। যে কারণে ওই বাড়ির মালিক কিশোরের বাবাকে ২০০০ টাকা জরিমানা করে। সেই টাকা কিশোরের বাবা ওই বাড়ির মালিককে দিয়ে দেন। টাকা দেওয়া সত্ত্বেও ওই বাড়ির মালিক রাতে লোকজন নিয়ে এসে কিশোরের বাড়িতে ভাঙচুর করে, মারধর করে। এমনকি তৃণমূলের এক বিধায়কের ঘনিষ্ঠ দুষ্কৃতীকে নিয়ে এসে পাড়ার লোকজনের বাড়িতে হামলা করার হুমকিও দেয় ওই ব্যক্তি। যা ঘিরে গোটা এলাকা অশান্ত হয়।

এদিকে বুধবার সন্ধেয় ওই নোনাডাঙার অদূরেই গুলশন কলোনি এলাকায় ফের নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ, বেশ কিছু বহিরাগত দুষ্কৃতী সেখানে তাণ্ডব চালায়। ঘটনার প্রতিবাদে আনন্দপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসীরা, যাদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা। তাঁদের অভিযোগ, এলাকাকে অশান্ত কর‍তে বাইকে করে দুষ্কৃতী বাইরে থেকে এসে এলাকায় তাণ্ডব চালায়। স্থানীয়রাই তাদের ধাওয়া করে চার জনকে ধরে ফেলে। তাদের কাছ থেকে বোমাও উদ্ধার হয়েছে। এরপর ওই দুষ্কৃতীদের পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের থেকে ধারালো অস্ত্রও উদ্ধার করেছে পুলিশ। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী। তবে নোনাডাঙার ঘটনার সঙ্গে আনন্দপুরের ঘটনার কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।