‘দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন মমতা’, ফেব্রুয়ারিতে লেখা চিঠির কথা মনে করিয়ে তোপ বিজেপির
বুধবার করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) আরও একটি চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata Banerjee)। আর তারপরই টুইট করেন অমিত মালব্য (Amit Malvya)।
নয়া দিল্লি: ‘দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন আর কেন্দ্রের কোর্টে বল ছোড়ার চেষ্টা করছেন।’ এই ভাষাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে (Mamata Banerjee) তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য (Amit Malvya)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) চিঠি দেওয়ার পরই মমতার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। বাংলার মাটিতে ভ্যাকসিন উৎপাদন করার বার্তা দিয়ে বুধবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য টুইটে ফেব্রুয়ারিতে মমতার দেওয়ার একটি চিঠির কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। সেই চিঠিতে মমতা লিখেছিলেন, যাতে রাজ্যকে ভ্যাকসিন তৈরি করার অনুমতি দেওয়া হয়। অমিত মালব্যের দাবি, যেহেতু এখন সরকারি প্রক্রিয়ার বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে তাই মুখ্যমন্ত্রী নিজের দায় এড়িয়ে যাচ্ছে ও কেন্দ্রের কোর্টে বল ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
On 24th Feb, Mamata Banerjee wrote a letter to the Prime Minister wanting WB to be given autonomy to procure vaccine on their own. Now that the central government has decentralised the process, CMs like her, unnerved by the responsibility, are passing the buck back to the center. https://t.co/ErDUOPKidV pic.twitter.com/Dq4oBPnh67
— Amit Malviya (@amitmalviya) May 12, 2021
বুধবার দেওয়া চিঠিতে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শুধু ভারতের নয়, বিদেশি সংস্থার উদ্দেশেও এই বার্তা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ভারতে যা ভ্যাকসিনের ডোজ রয়েছে, তা পর্যাপ্ত নয়। আর এই মুহূর্তে দেশের বিপুল জনসংখ্যাকে টিকা দিতে গেলে প্রচুর পরিমাণ ভ্যাকসিন প্রয়োজন। পশ্চিমবঙ্গের ১০ কোটি ও সারা দেশের ১৪০ কোটি মানুষের টিকাকরণ প্রয়োজন। মমতার দাবি, এখনও পর্যন্ত যা টিকাকরণ হয়েছে, জনসংখ্যার তুলনায় তা নগণ্য। তাই ভ্যাকসিন উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ানোর ক্ষেত্রে জোর দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। চিঠির শেষ অংশে মমতা লিখেছেন, ‘বিশ্বের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিকে ভারতে ফ্র্যাঞ্চাইজি খুলতে দিতে হবে। আর সেই সংস্থাগুলিকে জমি দিতেও রাজ্য সরকার প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন তিনি।