Municipal Election: ‘রাজ্যের কোনও অধিকার নেই বেছে ভোট করানোর’, কমিশনে চিঠি জয়প্রকাশদের

BJP: জয়প্রকাশ মজুমদারের বক্তব্য, রাজ্যের নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী পাঁচ বছরের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। করোনার দোহাই দিয়ে ভোট করেনি রাজ্য।

Municipal Election: 'রাজ্যের কোনও অধিকার নেই বেছে ভোট করানোর', কমিশনে চিঠি জয়প্রকাশদের
এবার পুরভোট নিয়েও জোর তরজা বঙ্গ রাজনীতিতে। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 08, 2021 | 8:47 PM

কলকাতা: এবার পুরভোট (Municipal Election) নিয়েও জোর তরজা বঙ্গ রাজনীতিতে। শাসকদল যখন শতাধিক পুরসভা-পুরনিগমের মধ্যে মাত্র দু’টিতে সাত তাড়াতাড়ি ভোট চেয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে। পাল্টা বিজেপিও সোমবার দ্বারস্থ হল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। বিজেপি কমিশনের কাছে জানতে চায়, বাকিগুলি বাদ দিয়ে মাত্র দু’টোতে ভোট কেন হবে? একই সঙ্গে বিজেপি জানিয়েছে, আইনের পথে হাঁটবে তারা।

সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। সেখানে সই রয়েছে বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি (State Vice President) জয়প্রকাশ মজুমদার, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিংয়ের।

জয়প্রকাশ মজুমদারের বক্তব্য, রাজ্যের নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী পাঁচ বছরের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। করোনার দোহাই দিয়ে ভোট করেনি রাজ্য। কোনওটার মেয়াদ শেষ হয়েছে দু’বছর, কোনওটায় তিন বছর, কোনওটা আবার এক বছর। বিজেপির তরফে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারের কোনও অধিকার নেই বেছে বেছে নির্বাচন করানোর। দু’টোয় হবে, বাকিগুলিতে কেন হবে না? গণতন্ত্রকে এ ভাবে ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করা চলবে না। সারা পশ্চিমবঙ্গের ভোট কেন হবে না? উত্তর দিতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।

এদিনই সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, সমস্ত পুরসভায় একসঙ্গে ভোট করাতে হবে। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা সমস্ত পুরসভা বা কর্পোরেশনে একসঙ্গে ভোট চাই। আমরা সেই লক্ষ্যে আদালতেও যাচ্ছি। জনস্বার্থ মামলা করব। আজ একটি মামলা হয়েছে। আমরাও যাব। কারণ, হাওড়া ও কলকাতা কর্পোরেশনে আগে ভোট করিয়ে নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত, তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানাব, যদি একসঙ্গে ভোট না করানো যায়, সে ক্ষেত্রে গণনা একসঙ্গে করাতে হবেই। বিজেপি যখন একসঙ্গে ভোট চাইছে তার মানে বিজেপির সেই ক্ষমতা আছে সমস্ত পুরসভা ও পুরনিগমে একসঙ্গে আমরা লড়তে পারব।”

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই এই দাবি করে এসেছি। যে ভোটগুলো কাছাকাছি সময়ে হয়, তা এক সঙ্গে হোক সেটাই সকলে চান। বাম আমলেও তাই হয়েছে। একটা ফেব্রুয়ারিতে হবে, আরেকটা মার্চে হবে! এর তো কোনও যুক্তি নেই। একসঙ্গেই ছিল। কেন আলাদা করা হচ্ছে কে জানে। এখন তো সমস্ত পুরসভা বেআইনি। আইনি পুরসভা বলে পশ্চিমবঙ্গে কিছু নেই। এক বছর, দু’বছর, তিন বছরের সব বেআইনি পুরসভা। সবকটায় ভোট হওয়া দরকার। তা হলে দফায় দফায় ভোট করানোর কী যুক্তি।”

প্রসঙ্গত এ রাজ্যে পুরসভা ও পুরনিগম মিলিয়ে মিশিয়ে রয়েছে ১২৫টি। এর মধ্যে ১১৮টি পুরসভা, ৭টি পুরনিগম। সর্ববৃহৎ পুরনিগম কলকাতা। ১৪৪টি ওয়ার্ড। সোমবারই এই পুরভোট নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। প্রধান বিচারপতির এজলাসে দায়ের হওয়া এই মামলায় বলা হয়েছে, মাত্র দু’টি কেন, বাকিগুলোতে কেন ভোট নয়?

মৌসুমি রায় নামে জনৈক মহিলার দায়ের করা মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্যকে কপি দিতে নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ১৭ নভেম্বর মামলার শুনানি হবে। উল্লেখ্য, কলকাতা ও হাওড়া ছাড়া ১১৪টি পুরসভার ভোট বাকি।

আরও পড়ুন: বাংলায় একদিনের সংক্রমণ কমলেও মৃত্যু বাড়ছে! কমছে না পজিটিভিটি রেটও