AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সেবাই ধর্ম, কোভিড রোগীদের স্বার্থে ১০৪ বছরের রেওয়াজ ভেঙে ভারত সেবাশ্রমে মাছ-মাংস-ডিম

স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজের প্রতিষ্ঠা করা এই ভারত সেবাশ্রমে (Bharat Sevashram Sangha) প্রথম থেকেই আমিষ খাবারের প্রবেশ নিষিদ্ধ।

সেবাই ধর্ম, কোভিড রোগীদের স্বার্থে ১০৪ বছরের রেওয়াজ ভেঙে ভারত সেবাশ্রমে মাছ-মাংস-ডিম
নিজস্ব চিত্র।
| Updated on: May 22, 2021 | 2:16 PM
Share

কলকাতা: জীব সেবার জন্য বিশ্বজুড়ে খ্যাতি ভারত সেবাশ্রমের (Bharat Sevashram Sangha)। যখনই কোথাও কোনও দুর্যোগ এসেছে, ঝাঁপিয়ে পড়েছেন এখানকার সদস্যরা। সবটুকু উজাড় করে আর্ত সেবা করেছেন তাঁরা। তবে করোনার অতিমারিতে কার্যত নজির তৈরি করল ভারত সেবাশ্রম। গত ১০৪ বছরে যা ভারত সেবাশ্রম করেনি, মানুষের কথা ভেবে সে কাজও করল তারা। অসহায় মানুষের কথা ভেবে আশ্রমে ঢুকল মাছ, মাংস, আমিষ খাবার। এও এক মানবতার জয়গান। মানুষের স্বার্থই এখানে শেষ কথা।

শুক্রবার গড়িয়া ব্রিজি এলাকার প্রণব নগরে ভারত সেবাশ্রম সংঘের ক্যাম্পাসে একটি সেফ হোম চালু করা হয়েছে। যেখানে একই সঙ্গে ২০ জন করোনা আক্রান্তকে অক্সিজেন সাপোর্ট এবং ১০ জনকে আইসোলেশন সাপোর্ট দেওয়া সম্ভব। করোনা আক্রান্তদের দেখভাল করার জন্য কয়েকজন চিকিৎসক, নার্স, আয়াও রয়েছেন। সেখানেই কোভিড রোগীকে দেওয়া হচ্ছে ডিম সেদ্ধ, মুরগির মাংসের স্যুপ।

ভারত সেবাশ্রম সংঘের বেশ কয়েকজন প্রাক্তন ছাত্রের উদ্যোগেই এই জীব সেবার আয়োজন। চিকিৎসকরা বারবার বলছেন, কোভিড আক্রান্ত হলে রোগীর প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া দরকার। সে পরামর্শ মাথায় রেখেই এই আমিষ খাবার প্রবেশের ছাড়পত্র মিলেছে এখানে। এই উদ্যোগের অন্যতম কারিগর রাজীব দত্ত জানান, “আমরা প্রাথমিক ভাবে একজন করোনা রোগীর যা যা প্রয়োজন সমস্ত ব্যবস্থাই রেখেছি। শুক্রবারই আমাদের পথ চলা শুরু হয়েছে। শনিবার এখানে পাঁচজন আইসোলেশনে রয়েছেন। অক্সিজেন-বেডেও পাঁচজনের মত রয়েছেন।”

আরও পড়ুন: শম্ভুনাথ পণ্ডিতে করোনা আক্রান্ত তরুণীর মৃত্যু, আশঙ্কা সত্যি হলে বাংলায় প্রথম মিউকরমাইকোসিসের বলি

রাজীব জানান, ” প্রথমদিকে আমরা লোকের বাড়িতে গিয়ে অক্সিজেন সাপোর্ট, হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করতাম। তাতে অসুবিধা দেখা দেওয়ায় সেফ হোমের ভাবনা এল। আশ্রমের সঙ্গে যোগাযোগ করতেই আশ্রম কর্তৃপক্ষ রাজি হয়ে গেল। এরপরই কয়েকজন বন্ধুর সহযোগিতায় এখানে সেফ হোম করেছি। আশা করছি সাধারণ মানুষের খুব উপকার হবে।”