Bidhannagar Police: অফিস খুলে জাল হচ্ছিল ডিএলএডের নথি! বড়সড় পর্দাফাঁস করল পুলিশ

D.El.Ed. Fake Documents: উত্তর ২৪ পরগনার নিউ ব্যারাকপুর থেকে পাকড়াও করা হয়েছে সুজিত শিকদার নামে এক ব্যক্তিকে। গ্রেফতার হওয়া ওই ব্যক্তি বিরাটিতে একটি অফিস চালাত। সেই অফিস থেকেই এই জাল ডিএলএড নথিপত্রের কারবার চালাত বছর একচল্লিশের ওই প্রতারক।

Bidhannagar Police: অফিস খুলে জাল হচ্ছিল ডিএলএডের নথি! বড়সড় পর্দাফাঁস করল পুলিশ
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 11, 2024 | 9:12 PM

কলকাতা: ডিএলএড-নিয়ে জালিয়াতির নয়া কারবারের পর্দাফাঁস করল বিধাননগর পুলিশ। একেবারে অফিস খুলে চলছিল ডিএলএডের ভুয়ো সার্টিফিকেট দেওয়ার কালো কারবার। টেট পরীক্ষার্থীদের থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে সেই ভুয়ো নথিপত্র বানিয়ে দেওয়া হত। রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট থেকে শুরু করে মার্কশিট, অ্যাডমিট কার্ড সবই বানিয়ে দিত প্রতারক। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে এবার বড় সাফল্য বিধাননগর পুলিশের। উত্তর ২৪ পরগনার নিউ ব্যারাকপুর থেকে পাকড়াও করা হয়েছে সুজিত শিকদার নামে এক ব্যক্তিকে। গ্রেফতার হওয়া ওই ব্যক্তি বিরাটিতে একটি অফিস চালাত। সেই অফিস থেকেই এই জাল ডিএলএড নথিপত্রের কারবার চালাত বছর একচল্লিশের ওই প্রতারক।

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফেই প্রথমে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছিল বিধাননগর পূর্ব থানায়। গত ৪ জুনের ঘটনা। সেদিন দুপুরে পর্ষদের অফিসে ইন্টারভিউয়ের প্রক্রিয়া চলছিল। তখন অরবিন্দ মণ্ডল ও সমীর সরকার নামে দু’জন ইন্টারভিউ দিতে এসেছিল। কিন্তু তাদের জমা দেওয়া ডিএলএডের নথিপত্র দেখে সন্দেহ হয় পর্ষদের অফিসারদের মনে। এরপর সেই নথিপত্র খতিয়ে দেখতেই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হয়। ডিএলএড নথি স্ক্রুটিনি করতে গিয়ে দেখা যায়, ওই দু’জন যা কিছু নথিপত্র জমা দিয়েছে, সবই জাল। রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, অ্যাডমিট কার্ড, মার্কশিট… কোনওটাই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ থেকে ইস্যু করা ছিল না।

এদিকে বেগতিক দেখে পর্ষদের অফিস থেকে সেদিন পালিয়ে গিয়েছিল অরবিন্দ মণ্ডল। তবে অপর জন সমীর সরকারকে আটক করা হয়েছিল পর্ষদের অফিসে। এরপর খবর দেওয়া হয়েছিল বিধাননগর পূর্ব থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেই এবার বিরাটিতে এই জাল নথিপত্রের ব্যবসার সন্ধান পেল পুলিশ। বিধাননগর পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনার তদন্তে এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে এখনও চলছে।