Lok Sabha Election: ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত, লোকসভা ভোটের আগে মাস্টারস্ট্রোক অভিষেকের

Lok Sabha Election: ঠিক হয়েছে রাজ্য জুড়ে ১০০ দিনের কাজের টাকা এবং লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ অন্যান্য সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছতে ৩৩০০ সহায়তা কেন্দ্র তৈরি করবে তৃণমূল। ১৮ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত চলবে প্রতি অঞ্চলে তৃণমূলের এই সহায়তা কেন্দ্র।

Lok Sabha Election: ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত, লোকসভা ভোটের আগে মাস্টারস্ট্রোক অভিষেকের
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 16, 2024 | 8:42 PM

কলকাতা: ভোটের মুখে ফের সক্রিয় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৬ ফেব্রুয়ারি ভিডিয়ো কনফারেন্সে দলের সাংসদ, বিধায়ক এবং ব্লক সভাপতিদের নিয়ে মেগা বৈঠকও করলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। যদিও বৈঠকের কথা শোনা গিয়েছিল আগেই। তারপর থেকেই তাঁর এই সক্রিয়তাকে কেন্দ্র করে দ্রুত তৃণমূলের রাজ্যওয়াড়ি কর্মসূচির আভাস পাচ্ছিল রাজনৈতিক মহল। মার্চের মাঝামাঝিই কি বুথ স্তর অভিযানে ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল? সেই প্রশ্নও জোরালো হয়েছিল।  

এদিন বিকাল ৪টে থেকে শুরু হয় এই বৈঠক। তাতেই ঠিক হয়েছে রাজ্য জুড়ে ১০০ দিনের কাজের টাকা এবং লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ অন্যান্য সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছতে ৩৩০০ সহায়তা কেন্দ্র তৈরি করবে তৃণমূল। ১৮ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত চলবে প্রতি অঞ্চলে তৃণমূলের এই সহায়তা কেন্দ্র। সোজা কথায়, লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যের কল্যাণমূলক প্রকল্পই হাতিয়ার রাজ্যের শাসক দলের। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে দলের নেতাদের অভিষেক তো স্পষ্টই বলেন, আমি সব নেতাদের অনুরোধ করব বাড়ি বাড়ি যান। কীভাবে আমাদের মহিলা সাংসদদের ওপর দিল্লি পুলিশ হেনস্থা করেছে তা মানুষকে বলুন।  

লোকসভা ভোটে প্রচারের জন্য এদিন একটি নতুন রূপরেখা ঠিক করে দিতে দেখা যায় অভিষেককে। তাঁর মুখে শোনা যায় ‘জমিদারি হঠাও বাংলা বাঁচাও’ স্লোগান। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এই স্লোগানকে হাতিয়ার করেই বিজেপির সঙ্গে টক্করে নামতে চলেছে ঘাসফুল শিবির। স্পষ্টই বলেন, জমিদারদের প্রত্যাখ্যান করতেই এই ভোট । 

প্রসঙ্গত, তৃণমূলের নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বের আবহে বেশ কিছুদিন নিজেকে ‘দূরেই’ রেখেছিলেন দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। নিজেকে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রিক কর্মসূচিতে অনেক বেশি করে আবদ্ধ রেখেছিলেন। তবে দলের প্রবীণ নেতৃত্বকে বিঁধতে ছাড়েননি। এই আবহে ভোটের মুখে তাঁর ফের সক্রিয়তা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।