‘মানবতার মন্দির বিশ্বভারতী’, শতবর্ষে টুইট মমতার
দেশের অন্যতম প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতী। ১৯২১ সালে বীরভূমের বোলপুর শান্তিনিকেতনে প্রকৃতির মাঝে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। কবি চেয়েছিলেন, পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে যেন উদারতা তৈরি হয়।
কলকাতা: বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) শতবর্ষে টুইটারে শুভেচ্ছাবার্তা মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamta Banerjee)। এ বছর রবীন্দ্রনাথের এই ‘আশ্রম’ শতবর্ষ ছুঁল। ৮ পৌষ বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা দিবস। কবিগুরুর ভাষাতেই ঐতিহ্যের এই মূর্ত স্মারককে সম্মান জানালেন মমতা। লিখলেন, ‘বিশ্ব সাথে যোগে যেথায় বিহারো, সেইখানে যোগ তোমার সাথে আমারও।… বিশ্বভারতী শতবর্ষে পড়ল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টি ও মানবতার মন্দির এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আমাদের উচিৎ এই মহান জীবন দর্শনকে সংরক্ষিত রাখা।’ বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উপলক্ষে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন আচার্য নরেন্দ্র মোদী। সেখানে থাকবেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়ালও।
“বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহারো, সেইখানে যোগ তোমার সাথে আমারো”
Visva Bharati University turns 100. This temple of learning was Rabindranath Tagore’s greatest experiment on creating the ideal human being. We must preserve the vision and philosophy of this great visionary
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 24, 2020
সকালেই বিশ্বভারতীতে এসে পৌঁছেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। উপস্থিত হয়েছেন অন্যান্য বিশিষ্টরা। এদিন থেকে বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদযাপন শুরু হবে। বছরভর চলবে নানা অনুষ্ঠান। সকাল প্রায় পৌঁনে ১২টা অবধি চলবে বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠান। এরপর রতনপল্লিতে ভারত তীর্থ নামে একটি নতুন মার্কেটের উদ্বোধন করবেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন: উত্তুরে হাওয়ার দাপটে কনকনে ‘ক্রিসমাস ইভ’ কলকাতায়
দেশের অন্যতম প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতী। ১৯২১ সালে বীরভূমের বোলপুর শান্তিনিকেতনে প্রকৃতির মাঝে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। কবি চেয়েছিলেন, পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে যেন উদারতা তৈরি হয়। যে উদারতা রক্ত মাংসের একজন মানুষকে মানবতার মন্ত্রে দীক্ষিত করতে পারে।
দেশের বাকি পাঁচটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এখানেই বিশ্বভারতীর অনন্যতা, স্বকীয়তা। রবিঠাকুরের এই সৃষ্টিকে ১৯৫১ সালে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেওয়া হয়। এরপর সময় সরণি ধরে বহু পরিবর্তন এসেছে গুরুদেবের সাধের এই আশ্রমে। ওয়াকিবহাল মহল বলে, আজকাল বড্ড বেশি দলীয় রাজনীতির হাওয়া ঘোরে বিশ্বভারতীর চারপাশে। বাঙালির আবেগকে বলির পাঁঠা করে ভোট ব্যাঙ্ক ভরানোই যার লক্ষ্য। অমিত শাহ কিছুদিন আগেই রোড শো করে গিয়েছেন বিশ্বভারতীর সামনের রাস্তা ধরে। আগামী সপ্তাহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাচ্ছে, একই পথ ধরে পদযাত্রা করবেন তিনি।