Panchayat Election 2023: ‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন মানুষকে ভয়মুক্ত করব, আর এখন…’ ফের শমীকের নিশানায় মমতা
Panchayat Election 2023: বারবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে। যদিও বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের মতে, এই হিংসা কাঙ্ক্ষিত না হলেও অপ্রাসঙ্গিক নয়।
কলকাতা: ৮ জুন ভোট (Panchayat Election 2023) ঘোষণার পর থেকে এখনও ৭ জুলাই পর্যন্ত ২৯ দিনে রাজ্যের ১৮ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। অসমর্থিত সূত্রে খবর এমনটাই। শাসক থেকে বিরোধী প্রাণ গিয়েছে সব দলের কর্মীদেরই। প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা। কিন্তু, এত হিংসার দায় কার? রাজ্যপালের ক্ষোভের আগুনে বারবার পুড়েছে রাজ্য় নির্বাচন কমিশনের। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। যদিও বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের মতে, এই হিংসা কাঙ্ক্ষিত না হলেও অপ্রাসঙ্গিক নয়। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে একযোগে বাম-তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন পদ্ম নেতা।
টিভি-৯ বাংলার একটি বিতর্ক সভায় সিপিএমকে আক্রমণ করে শমীক বলেন, “আমরা একটা পদ্ধতির মধ্যে ঢুকে পড়েছি। বাম জমানায় একটার পর একটা নির্বাচন হয়েছে। একদম ভোট পর্ব শেষে বাম নেতারা বলতেন দু-একটি বিক্ষিপ্ত বোমাবাজি ছাড়া ভোটপর্ব ছিল মোটামুটি শান্তিপূর্ণ। আমরা যাঁরা বিরোধী অবস্থানে ছিলাম আমরা বলতাম এই শান্তি শ্মশ্মানের শান্তি। অনিলবাবু বলতেন পরাজিতের আর্তনাদ। তাই ২০১১ সালে ইস্যু ছিল একটাই গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা।”
এরপরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে শমীক বলেন, “আজকের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন মানুষকে ভয়মুক্ত করব। নির্বাচন কমিশনকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করব। আর থান কাপড় বিতরণ থাকবে না, বাইক বাহিনী থাকবে না। আর এখন থান কাপড়ের সঙ্গে রজমী গন্ধার স্টিক আছে, তাজা বোমা আছে, মিষ্টি আছে। ২০০৩ সালে পঞ্চায়েতে ১০৩ জন মারা গিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে, নির্বাচনের আগে ও পরে মৃত্যুর সংখ্যা ৯৯। এর মধ্যে শাসকদলের লোক ৪৯। তার মধ্যে ৪৭ জনের পরিবার সরাসরি অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।”
পাল্টা তোপ দেগেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। সিপিএমকে আক্রমণ করার পাশাপাশি সুর চড়িয়েছেন শমীকের বিরুদ্ধেও। শান্তনু বলেন, “সিপিএমের আমলে তো লোকাল কমিটি জোনাল কমিটি ছাড়া একটা কেস দায়ের হতো না। সেটা আমরা কী করে ভুলব।” এরপরই শমীকের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, “বিজেপির মুখপাত্রকে বলি, ত্রিপুরায় ৯৬ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ৯৫ শতাংশ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়। সাম্প্রদায়িক ঝামেলা, জাতপাতের ঝগড়া বিজেপির থেকে ভাল আর কে পারে। বিরোধীদের অধিকার? পিটিআইয়ের সাব্সক্রিপশন বন্ধ করে দিয়েছিল এই বিজেপি, বিবিসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল এই বিজেপি। মধ্যপ্রদেশে সাংবাদিকদের উলঙ্গ করে মেরেছিল এই বিজেপি।”