বিধানসভায় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীর ‘প্রবেশ নিষেধ’ কেন? ব্যাখ্যা চেয়ে স্পিকারকে চিঠি মিহিরের

মাসখানেক আগেই এই নির্দেশ জারি করেছিলেন বিধানসভার স্পিকার। এই নির্দেশের বিরোধিতা করে এর কারণ এবং ব্যাখ্যা চেয়ে এ বার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী।

বিধানসভায় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীর 'প্রবেশ নিষেধ' কেন? ব্যাখ্যা চেয়ে স্পিকারকে চিঠি মিহিরের
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 15, 2021 | 7:38 PM

কলকাতা: ৭৭ থেকে কমে আপাতত বিধানসভায় ৭৪ বিজেপি। দু’জন পদত্যাগ করেছেন, একজন দল পরিবর্তন করেছেন। তবে সমস্ত বিধায়কদের জন্য ইতিমধ্যেই নিরাপত্তার আঁটোসাঁটো ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রাজ্যে ভোট পরবর্তী পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই সকল বিধায়কদের জন্য নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে বিধানসভায় প্রবেশ করা যাবে না। মাসখানেক আগেই এই নির্দেশ জারি করেছিলেন বিধানসভার স্পিকার। এই নির্দেশের বিরোধিতা করে এর কারণ এবং ব্যাখ্যা চেয়ে এ বার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী।

বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ডেপুটি হতে পারেন মিহির গোস্বামী; সূত্র মারফৎ এই খবর যেদিন চাউর হয়েছে, সে দিনই স্পিকারকে এই চিঠি দিয়েছেন নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক। চিঠি লিখে তিনি বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চেয়েছেন, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী বিধানসভায় প্রবেশ করতে পারবে না কেন? এই নিয়ে কী আদেশ রয়েছে স্পিকারের? যদি আদেশ থাকে তবে সেই আদেশের কপি চেয়ে স্পিকারকে এই চিঠি দিয়েছেন মিহিরবাবু। সূত্রের খবর, চিঠিতে মিহির গোস্বামী প্রশ্ন তুলেছেন, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য পৃথক নিয়ম কেন বিধানসভায়? রাজ্যের নিরাপত্তারক্ষী ঢুকতে পারলেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর কেন নিষেধাজ্ঞা?

আরও পড়ুন: অক্সিজেন ব্যবহারে বিরাট গাফিলতির কারণেই কি মৃত্যু বেশি বঙ্গে? হাড় হিম করা রিপোর্ট স্বাস্থ্যভবনে

প্রসঙ্গত, গত ৭ মে বিজেপি বিধায়কদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের দিন শুভেন্দু অধিকারীর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে বিধানসভা চত্বরে বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে। এমনকী, সাংবাদিকদের সঙ্গেও ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। সাময়িকভাবে বিধানসভার বাইরে একটি অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। শুভেন্দুর নিরাপত্তায় থাকা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তোলেন সংবাদকর্মীরা। ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে এই নিয়ে বিধানসভায় লিখিত অভিযোগও জানান সাংবাদিককূল। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বিধানসভা চত্বরে আর ঢুকতে পারবে না কেন্দ্রীয় বাহিনী।

আরও পড়ুন: ‘স্বাধীন ভারতে নজিরবিহীন, বাংলায় গণতন্ত্রের মৃত্যুর ঘণ্টা শোনা যাচ্ছে’, মমতাকে পত্রাঘাত ধনখড়ের