যারা সিএএ বিরোধী, তাদের সঙ্গে আমি নেই: শান্তনু
গত কয়েকমাস যাবত শান্তনু ঠাকুর যে বেসুর ধরেছিলেন, তাতে বিজেপির মাথাব্যথা কিছুটা হলেও বেড়েছিল। আজকের পর অবশ্য যাবতীয় জল্পনায় প্রাথমিকভাবে ইতি পড়ে গিয়েছে
কলকাতা: বহুদিন ধরেই বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে (Shantanu Thakur) নিয়ে জল্পনা চলছিল। তবে এদিন মুকুল রায়ের (Mukul Roy) পাশে বসে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, যে দল নাগরিকত্ব আইনের (CAA) বিরোধিতা করেছে (তৃণমূল), সেখানে তিনি যাবেন না। যে অসন্তোষের জায়গাগুলি রয়েছে তার সমাধান দলের মধ্যেই হয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদী। তাঁর পাশে বসে থাকা মুকুল রায় আবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তৃণমূলের নালিশ নিয়ে ধনখড়ের পাশেই দাঁড়ালেন।
নাগরিকত্ব আইন কার্যকরে দেরি হওয়ায় গত কয়েকমাস যাবত শান্তনু ঠাকুর যে বেসুর ধরেছিলেন, তাতে বিজেপির মাথাব্যথা কিছুটা হলেও বেড়েছিল। আজকের পর অবশ্য যাবতীয় জল্পনায় প্রাথমিকভাবে ইতি পড়ে গিয়েছে। শান্তনু জানিয়েছেন, যারা সিএএ বিরোধিতা করেছে, তাদের দলে তিনি কখনই যাবেন না। বিষয়টি নিয়ে তাঁর কিছু বক্তব্য যে রয়েছে, সে কথা অবশ্য অস্বীকার করেননি। তবে পরের মাসে অমিত শাহ ফের রাজ্য আসতে চলেছেন। ঠাকুননগরে একটি সভাও করবেন। সেখানেই সিএএ সংক্রান্ত সমস্ত আলোচনা হয়ে যাবে বলে আশা শান্তনুর।
অন্যদিকে, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে অপসারণের দাবিতে বুধবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছে তৃণমূল। অভিযোগ করা হয়েছে, রাজ্যপাল সংবিধানের নিয়মকানুনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একের পর এক মন্তব্য করছেন। এ হেন আচরণকে তৃণমূল সাংবিধানিক রীতিনীতি লঙ্ঘনের সমান বলেই দাবি করেছে। এই চিঠিতে সই করেছেন তৃণমূলের পাঁচ সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুখেন্দুশেখর রায় ও কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মুকুল বলেন, “তৃণমূল কী বলছে তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। বামফ্রন্ট যখন ক্ষমতায় ছিল তখন মমতা ৩৫ বার রাজ্যপাল বদলের কথা বলেছেন। কিন্তু বদল কি হয়েছে?” তাঁর আরও দাবি, “রাজ্যপাল এখনও পর্যন্ত যা যা বলেছেন তার মধ্যে একটা শব্দও আইন বিরুদ্ধ নয়।”
আরও পড়ুন: রাজ্যপাল পদ থেকে ধনখড়ের অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি তৃণমূলের
এদিন সারদা-কর্তা লেখার লেখা চিঠির প্রসঙ্গও উঠে আসে মুকুলের সাংবাদিক বৈঠকে। যেখানে সুদীপ্ত সেন লিখেছেন, মুকুল রায়ের পরামর্শেই তিনি কলকাতা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। সাফাই দিয়ে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তখন ব্যাখ্যার সুরে জানান, সুপ্রিম কোর্টই বলেছে কোনও সহ-অভিযুক্ত অভিযোগ তুললে তা আইনে গ্রাহ্য নয়।
আরও পড়ুন: আজই দেশে অনুমোদন পেতে পারে অক্সফোর্ডের করোনা টিকা ‘কোভিশিল্ড’!