Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

BJP: বঙ্গ বিজেপির কোর কমিটির সঙ্গে বৈঠক নাড্ডার, শুভেন্দুর গরহাজিরা নিয়ে জল্পনা

J.P Nadda: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের রূপরেখা নির্ধারণ করাই এই বৈঠকের মূল বিষয় ছিল বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত, রাহুল সিনহা থেকে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।

BJP: বঙ্গ বিজেপির কোর কমিটির সঙ্গে বৈঠক নাড্ডার, শুভেন্দুর গরহাজিরা নিয়ে জল্পনা
বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকে নাড্ডা।Image Credit source: টিভি৯ বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 12, 2023 | 11:56 PM

কলকাতা: ‘পাখির চোখ’ লোকসভা নির্বাচন। তাই শনিবার কলকাতা সফরে এসে জনসভার পাশাপাশি দফায়-দফায় রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে.পি নাড্ডা (J.P Nadda)। বিকালের পর এদিন রাতে ফের বিজেপি (BJP)-র কোর কমিটির নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। যদিও সেই বৈঠকে গরহাজির ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল (Sunil Bansal)। যা নিয়ে নানান জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তাহলে কী দলে কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন শুভেন্দু? নাড্ডা-সহ রাজ্য নেতৃত্বের পাশে বসে সংগঠন মজবুত করা নিয়ে দলীয় নেতাদের তীব্র সমালোচনা করার পরেও কোর কমিটির বৈঠকে কেন‌ এলেন না শুভেন্দু? – এমন প্রশ্ন উঠছে।

যদিও নাড্ডার রাতের বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীর অনুপস্থিতির কারণ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। তবে আগামিকালের বৈঠকে শুভেন্দু যোগ দেবেন বলে জানান সুকান্ত মজুমদার। আবার সমস্ত জল্পনা খারিজ করে দিয়ে রাজ্য বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার মন্তব্য, “শুভেন্দু অধিকারী সব বৈঠকেই থাকেন, বিকালেও ছিলেন, ভাষণও দিয়েছে। এই বৈঠকে কোনও কারণে এসে পৌঁছতে পারেননি। সেটা কী কারণ জেনে নেব। তবে কারও অনুপস্থিতি নিয়ে কোনও জল্পনার যৌক্তিকতা নেই।”

অন্যদিকে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের রূপরেখা নির্ধারণ করাই এই বৈঠকের মূল বিষয় ছিল বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত, রাহুল সিনহা থেকে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সংগঠন আরও শক্তিশালী করতে কী করা উচিত সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাসে দলীয় নেতা-কর্মীদের অভিজ্ঞতা বৈঠকে তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান স্বপন দাশগুপ্ত। একইভাবে রাহুল সিনহা বলেন, “লোকসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য করে রোডম্যাপ তৈরি করা, কার্যক্রম কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় এবং দলের কাজে গতি আনা যায়, সে ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন সর্বভারতীয় সভাপতি।” আবার সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটে যেভাবে সন্ত্রাস চলেছে, তার মধ্যেও দলের কার্যকর্তারা লড়াই করেছেন। মানুষ তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়, তাদের বিকল্প পথ বিজেপি। তাই কীভাবে আমরা একেবারে বুথস্তরে মানুষের কাছ পর্যন্ত পৌঁছতে পারি, সেটা নিয়েই আলোচনা হয় এদিনের বৈঠকে।” অর্থাৎ লোকসভা ভোটের আগে দলীয় সংগঠন মজবুত করার পথনির্দেশিকা দিতেই যে নাড্ডার এই কলকাতা সফর, তা রাজ্য নেতৃত্বের বক্তব্যেই স্পষ্ট।