‘শিল্প নেই, চাকরি নেই, টেট নেই’! তৃণমূলের ইস্তাহার ‘অর্থহীন’, খোঁচা বিজেপির

ইস্তেহারে (TMC Manifesto) তৃণমূল যে যে ঘোষণাগুলি করেছে, তার প্রত্যেকটি বিষয় ধরে ধরে জবাব দেয় বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের দাবি, ইস্তাহারে কর্মসংস্থান বা শিল্প নিয়ে কোনও পোক্ত প্রতিশ্রুতি নেই।

'শিল্প নেই, চাকরি নেই, টেট নেই'! তৃণমূলের ইস্তাহার 'অর্থহীন', খোঁচা বিজেপির
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Mar 17, 2021 | 9:58 PM

কলকাতা: তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলে রাজ্যের সকল পরিবারগুলিকে ন্যূনতম আর্থিক সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তৃণমূল (TMC)। শাসকদলের এই ইস্তাহারকে (TMC Manifesto) পালটা ‘অর্থহীন’ বলে কটাক্ষ করল বিজেপি (BJP)। এ দিনের প্রতিশ্রুতি পত্রে তৃণমূল যে যে ঘোষণাগুলি করেছে, তার প্রত্যেকটি বিষয় ধরে ধরে জবাব দিয়েছে বিজেপি। ইস্তাহারে কর্মসংস্থান বা শিল্প নিয়ে কোনও পোক্ত প্রতিশ্রুতি না থাকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে গেরুয়া শিবির।

ভোটের কয়েকমাস আগে ‘দুয়ারে সরকার’ নামক কর্মসূচি এনে তৃণমূল স্তরে হারানো জমি কিছুটা ফিরে পেয়েছে রাজ্য সরকার। সেই কথা মাথায় রেখে এ বার প্রত্যেক বছর অন্তত ৪ বার দুয়ারে সরকার প্রকল্পের আয়োজন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। সেই নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে রাজ্য বিজেপি সহ-সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ২০১২ সালে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “সব সব কাজ হয়ে গিয়েছে। তাহলে এখন দুয়ারে সরকারের কী প্রয়োজন?” কেন্দ্রের সব প্রকল্পের নাম বদলে রাজ্য নিজের বলে চালাচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।

শমীকের কথায়, “রাজ্যে কাজ নেই, শিল্প নেই, ১০ বছরে চাকরি নেই। সরকার টেট পরীক্ষা নিতে পারেনি। ইস্তাহারে এই সবকিছুর কথা কোথায়? সব প্রকল্পের নাম বদল করে রাজ্য সরকার চলছে। সব প্রকল্প কেন্দ্রীয় সরকারের। টাকাও কেন্দ্রীয় সরকার দেয়। তাই তৃণমূলের ইস্তেহার অর্থহীন।” পাশাপাশি নাম না করে তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকেও এক হাত নেন বিজেপি নেতা। শমীক বলেন, “কোটি কোটি টাকা দিয়ে যাকে এনেছেন তাঁর মাথা থেকে কোনও নতুন প্রকল্প এল না! কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প নিয়েই নাড়াচারা করলেন ভিন্ন নামে।”

আরও পড়ুন: ‘ক্ষমতায় আসতে পারবেন না, তাই ভোটটা তৃণমূলকে দিন’, বামপন্থীদের বার্তা মমতার

বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠন করলে মণ্ডল কমিশন রূপায়ন হবে বলে দাবি করেন শমীকবাবু। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়েছেন, তাতে বিজেপি হাত আছে। অটল বিহারী বাজপেয়ী বা লালকৃষ্ণ আদবানি না থাকলে এই তৃণমূল দলটা থাকত না। এটা মনে রাখা উচিত।”

আরও পড়ুন: বছরে সাধারণ পরিবারকে ৬ হাজার, ওবিসি-তপসিলিদের ১২ হাজার টাকা ভাতা