Bratya Basu on vacancy: শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন শূন্যপদ ৭৮১, ২৪ ঘণ্টায় ‘বদলে’ গেল সংখ্যা?
Bratya Basu on vacancy: এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, "আমি বিধানসভা কক্ষে গতকাল কিছু তথ্য দিয়েছিলাম। বলেছিলাম যে প্রতিনিয়ত অবসর নিচ্ছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা, ফলে নির্দিষ্টভাবে বলা যাবে না। তবে আমার দেওয়া সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। আমি তার অবসান চাই।"
কলকাতা: হাজার হাজার মানুষ যখন রাস্তায় নিয়োগের আশায় দিন গুনছেন, তখন শিক্ষামন্ত্রী বলে বসলেন গোটা রাজ্যে শূন্যপদ মাত্র ৭৮১। তাঁর দেওয়া এই সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক বাড়ে শিক্ষা মহলে। চাকরি প্রার্থীদের মধ্যেও শুরু হয় গুঞ্জন। আদালতে খোদ শিক্ষা দফতর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক মিলিয়ে মোট ২১ হাজার শূন্যপদের কথা বলেছিলেন। সেই দফতরের মন্ত্রীই বলছেন শূন্যপদ মাত্র ৭৮১? তা কী করে হয়? এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার পরই বুধবার তাঁর দেওয়া তথ্যের ব্যাখ্যা দিলেন ব্রাত্য বসু।
এদিন তিনি বলেন, “আমি বিধানসভা কক্ষে গতকাল কিছু তথ্য দিয়েছিলাম। বলেছিলাম যে প্রতিনিয়ত অবসর নিচ্ছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা, ফলে নির্দিষ্টভাবে বলা যাবে না। তবে আমার দেওয়া সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। আমি তার অবসান চাই।”
নিয়োগের জন্য যে শূন্যপদের তালিকা পাঠানো হয়েছে সব বোর্ডগুলিতে, সেগুলির তথ্য এদিন তুলে ধরেন ব্রাত্য। তিনি জানান, সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাথমিকের জন্য ২০২২ সালে পাঠানো হয়েছিল ১১ হাজার ৭৬৫টি শূন্যপদের কথা। উচ্চ প্রাথমিকের ১৪ হাজার ৩৩৯ শূন্যপদে কাউন্সেলিং চলছে হাইকোর্টের নির্দেশে। মাধ্যমিক স্তরে ১৩,৫০০-র কিছু বেশি শূন্যপদে ও উচ্চ মাধ্যমিকে ৫,৫০০-র বেশি শূন্যপদেও নিয়োগ চলছে বলে উল্লেখ করেছেন ব্রাত্য বসু।
তার পরেও যা সামান্য শূন্যপদ আছে, সেটার হিসেব দিয়েছিলেন বলে দাবি ব্রাত্য বসুর। অর্থাৎ যে সব শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে, সেগুলির হিসেব বাদ দিয়েই ৭৮১ সংখ্যাটি বলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।