Cable Operators vs Broadcasters: বেড়েই চলেছে গ্রাহকদের ক্ষোভ, আজ থেকেই কি চালু হবে বন্ধ হওয়া টিভি চ্যানেল? আশাবাদী কেবল অপারেটররা
TRAI Regulation: কেবল অপারেটরদের দাবি আচমকাই যে চ্যানেল বন্ধ হয়ে যাবে, এই বিষয়ে তারা কিছুই জানতেন না।
কলকাতা: বন্ধ সিরিয়াল, সিনেমা। দেখা যাচ্ছে না খেলা ও খবরের চ্যানেলও। ঘরে ঘরে ধুন্ধুমার বাঁধছে টিভি চ্যানেল বন্ধ থাকা নিয়ে। টেলিকম রেগুলেটরি অথারিটি অব ইন্ডিয়ার তরফে নতুন ট্যারিফ অর্ডার আনার পর থেকেই বন্ধ টিভি চ্যানেল। জি (Zee) থেকে শুরু করে সোনি (Sony), স্টার(Star) নেটওয়ার্কের কোনও চ্যানেলই চলছে না। এর জেরে সমস্যায় পড়েছেন টেলিভিশনের নিয়মিত দর্শকরা। চাপ বাড়ছে কেবল অপারেটরদের উপরেও। এই পরিস্থিতিতেই আশার আলো একমাত্র আজকের বৈঠক। আজ, বুধবারই দিল্লিতে বিভিন্ন কেবল সংস্থার সঙ্গে ব্রডকাস্টার সংস্থার একটি বৈঠক রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আজকের এই বৈঠকে সমাধানসূত্র পাওয়া যাবে।
চলতি মাসের শুরু থেকেই চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন টেলিভিশনের দর্শকরা। খেলা থেকে বিনোদন, যাবতীয় চ্যানেল সার্চ করলেই দেখা যাচ্ছে একটা বার্তা, চ্যানেল বাবদ ট্রাইয়ের নির্দেশিকার সঙ্গে কেবল অপারেটররা সহমত না হওয়ায় আপাতত এই চ্যানেলগুলির অ্য়াক্সেস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই বার্তার অর্থ কী, তাও অনেকেই জানেন না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই যাবতীয় ক্ষোভ উগরে দেওয়া হচ্ছে কেবল অপারেটরদের উপরেই। এদিকে, কেবল অপারেটরদের দাবি আচমকাই যে চ্যানেল বন্ধ হয়ে যাবে, এই বিষয়ে তারা কিছুই জানতেন না।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্রডব্রান্ড অ্যান্ড টিভির সেক্রেটারি চন্দ্রনাথ পাইন বলেন, “আগে থেকে এই বিষয়ে অবগত ছিলাম না। ১ ফেব্রুয়ারি জানতে পারি ট্রাই নতুন ট্যারিফ চালু করেছে। এরপরে আমরা সিটি কেবল, হ্যাথওয়ে সহ একাধিক কেবল অপারেটরদের কাছে যাই। আমরা বলি যে অতিরিক্ত ট্যারিফ নেব না। কারণ গ্রাহকদের কাছ থেকে আমরাই টাকা তুলতে যাই। কেবল টিভির খরচ বৃদ্ধির সম্পর্কে তারা কিছুই জানতেন না, এমনকী আমাদেরও জানানো হয়নি। পরে ১৮ তারিখ থেকে ৭০ শতাংশ গ্রাহকেরই টিভিতে প্রায় সমস্ত চ্যানেল বন্ধ হয়ে যায়। সিটি আমাদের বলল, ট্রাইয়ের নির্দেশিকা অনুযায়ী বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, জিটিপিএল, হ্যাথওয়ে জানিয়েছে, যেহেতু এই বিষয়টিন নিয়ে মামলা করা হয়েছে, তাই এভাবে চ্যানেল বন্ধ করা যায় না। এখন আমরা শুনছি, আজ একটি বৈঠক রয়েছে। দুপুর একটার মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এবং চ্যানেলগুলি চালু করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে”।
অন্য়দিকে, বিশ্ব বাংলা কেবল টিভির অপারেটর শঙ্কর মন্ডল বলেন, “অপারেটর হিসাবে আমাদের কাছে এমন কোনও বার্তা ছিল না যে হঠাৎ করে চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমরা গ্রাহকদের ক্ষোভের মুখে পড়ছি। বাড়ি এসে গ্রাহকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, অনেকে আবার কেবল পরিষেবা ছেড়ে ডিশ টিভি পরিষেবা নিয়ে নিচ্ছেন। আমরা এই চ্যানেল বন্ধ করা নিয়ে ট্রাইয়ের কাছে বিক্ষোভ দেখিয়েছি। জিটিপিএলর কর্ণধারও আশ্বাস দিয়েছেন যে আজকের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা হবে। পশ্চিমবঙ্গে ১০ লক্ষ পরিবার এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তারা সকলে চূড়ান্ত সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। ট্রাই প্রত্যেক বছর গ্রাহকের স্বার্থের নামে যে নতুন আইন আনছে, তাতে গ্রাহকরাই সমস্যার মুখে পড়ছে। এটা কেবল ব্যবসা তুলে দেওয়ার চক্রান্ত।”