Mamata Banerjee: ‘মমতার মন্তব্যে কিছু যায় আসে না…বিচারব্যবস্থা এত ঠুনকো নয়,’ কড়া পর্যবেক্ষণ আদালতের

Calcutta High Court: এসএসকেএমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতে গিয়েছিল ইডি। এরপরই পার্থকে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।

Mamata Banerjee: 'মমতার মন্তব্যে কিছু যায় আসে না...বিচারব্যবস্থা এত ঠুনকো নয়,' কড়া পর্যবেক্ষণ আদালতের
মমতার মন্তব্য নিয়ে কড়া পর্যবেক্ষণ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 26, 2022 | 3:57 PM

কলকাতা : আদালত অবমাননা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নিয়েই আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কড়া পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর। মঙ্গলবার মমতার মন্তব্যের বিরুদ্ধে আইনজীবী আদালতের দ্বারস্থ হওয়ায়, বিচারপতি মন্তব্য করেছেন, বিচারব্যবস্থা এত ঠুনকো নয়, যে এই মন্তব্যে বিচারব্যবস্থার মেরুদণ্ড ভেঙে যাবে। তবে এই ধরনের মন্তব্যে গণতন্ত্রের সৌজন্যবোধটুকু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে আইনজীবী আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও মামলা গৃহীত হয়নি।

মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর আদালতের নির্দেশেই স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সোমবার ভুবনেশ্বর এইমসে তাঁর শারীরিক পরীক্ষার পর তাঁকে কলকাতায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আর সোমবারই বঙ্গবিভূষণ সম্মান প্রদানের মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। তাঁর প্রশ্ন, বাংলায় সরকারি-বেসরকারি এত হাসপাতাল থাকতে কেন ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হল মন্ত্রীকে? এতে বাংলাকে অপমান করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। মমতা বলেছেন, ‘বাংলায় কি কিছু নেই? এটা কি বাংলাকে অপমান করা নয়? এটা বাংলার মানুষকে অপমান করা।’

এই মন্তব্যে আদালত অবমাননা করা হয়েছে বলে দাবি করে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। বিচারপতি উল্লেখ করেন, যেহেতু মমতা আদালতের বাইরে এই মন্তব্য করেছেন, তাই এটা অবমাননা নয়। তবে মন্তব্যের জেরে রায়ে কিছু এসে যাবে না বলেই দাবি করেছেন তিনি।

এ দিন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী আরও বলেন, সব মামলাকারীরকে চিনিও না। কী এসে যায়? তবে এটা ঠিক যে আগে পিলার অফ ডেমোক্রেসিতে এইটুকু সৌজন্যবোধ ছিল যে, বিচারব্যবস্থা নিয়ে কিছু বলা হত না। এখন সেটা বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। কী করা যাবে! তিনি আরও উল্লেখ করেন, অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি ছিলেন। তিনি কিছু বলেন নি, তাই তারঁও কিছু বলার নেই। বিচারপতি স্পষ্ট বলেন, ‘আমরা আমাদের বিচারপতিদের অনুসরণ করি। সততায় বিশ্বাস করি। রাতে তাই নিশ্চিন্ত হয়ে ঘুমতে যাই। মামলাকারীর নামে কী বা আসে যায়!’