Partha Chatterjee: কোটি টাকার কেলেঙ্কারিতে মহাসচিব, এবার ‘হাওয়া’ ঘোরাতে ময়দানে নামছে তৃণমূল
TMC planning: ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে কর্মীদের একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তারপরই সামনে আসে কেলেঙ্কারির ভয়ঙ্কর ছবি।
কলকাতা : দলের নেতা বা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। আগেও ঘাসফুল শিবিরের একাধিক প্রথম সারির নেতা-মন্ত্রীরা জেলে গিয়েছেন। কিন্তু দলের মহাসচিবের বিরুদ্ধে যে শুধু দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তা নয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে যে বিপুল নগদ টাকা উদ্ধার হয়েচে, সেই ছবি নাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিকে। তৃণমূলের তরফে তথা খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের তরফে এই ঘটনাকে কেন্দ্রের প্রতিহিংসা বলে ব্যাখ্যা করা হলেও, ওপর থেকে নীচের তলার কর্মীদের মধ্যে যে একটা অস্বস্তি তৈরি হচ্ছে, তা মোটামুটি পরিষ্কার। সূত্রের খবর, সেই অস্বস্তি কাটাতে এবার রাজনৈতিক কার্যকলাপে মন দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে কর্মীদের। ২১-এর মঞ্চ থেকে মমতা যে বার্তা দিয়েছেন, তাতে তৃণমূলকর্মীদের হাতে এখন অনেক কাজ।
একদিকে যেমন বিরোধীদের চাপ বাড়ছে, অন্যদিকে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে পার্থ-অর্পিতার ‘উপাখ্যান।’ ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের সামাজিক বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে বলেই সূত্রের খবর। মঙ্গলবার দলের সুপ্রিমো বার্তা দিয়েছেন, বিচার ব্যবস্থার ওপরেই আস্থা রাখছে দল। অর্থাৎ দোষ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তার আগে কোনও মন্তব্য নয়। কারা কারা এ সবের সঙ্গে যুক্ত ছিল? এটা আদতে ঘটনা নাকি রটনা? এই প্রশ্নও তুলেছেন মমতা। তাই আপাতত পার্থ যখন ইডি হেফাজতে, তখন রাজনৈতিক কর্মসূচিতেই মনোনিবেশ করছেন নেতা-কর্মীরা। ঘরে বসে না থেকে কাজে নামতে বলা হয়েছে কর্মীদের।
২১ জুলাই একাধিক কর্মসূচির কথা বলেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সেই কর্মসূচি সফলভাবে পালন করার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে সব কর্মীকে। মমতার ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী অগস্ট মাসে তৃণমূলের অনেকগুলি কর্মসূচি রয়েছে। আদিবাসী দিবস পালনের কথা বলার পাশাপাশি, ৯ অগস্ট সমাবেশের ডাক দিয়েছে তৃণমূল। তাই তার আগে প্রস্তুত হতে হবে সংগঠনগুলিকে। এ ছাড়া দুর্গা পূজাকে ইউনেসকো যে স্বীকৃতি দিয়েছে, তার জন্য এক মাস ধরে নানা অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূলের। এ সবের পরেই বেজে যাবে পঞ্চায়েতের দামামা।
তাই তার আগে জনসংযোদের কথা বলা হয়েছে তৃণমূল শিবিরের কর্মীদের। মানুষের কাছে গিয়ে জানতে হবে, কার কী অসুবিধা। সরকারি প্রকল্পকে আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। তাই আপাতত পার্থ ইস্যুতে থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে ঘাসফুলে অন্দরে তোড়জোড় শুরু হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।