Calcutta High Court: জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ TMC বিধায়কের বিরুদ্ধে! মামলা গড়াল হাইকোর্টে
Calcutta High Court: এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে মামলাটি ওঠে। মামলায় হুমায়ুন কবিরকে যুক্ত করা হলেও এদিন তাঁর কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না এজলাসে। আগামী দিনের শুনানিতে বিধায়কের প্রতিনিধিকে আদালতে হাজির থাকার কথা বলেছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। পাশাপাশি পুলিশকেও পরবর্তী শুনানির দিন দু'টি অভিযোগের বিস্তারিত রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।
কলকাতা: জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠল ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন আইপিএস হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেছেন রেখা দাস ও তারকনাথ জয়সওয়াল নামে দুই জমি মালিক। তাঁদের অভিযোগ, হাওড়ায় একটি রেস্তরাঁ লাগোয়া এলাকায় ফাঁকা জমি দখলের চেষ্টা চলছে। আশপাশের একাধিক জনের ব্যক্তিগত জমিতে কোথাও পাঁচিল তোলার জন্য মাটি খোঁড়া হয়েছে, তো আবার কোথাও কলম তোলা শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ ওই দুই জমি মালিকের। মামলাকারীদের অভিযোগ, পুরো বিষয়টি নিজের প্রভাব খাটিয়ে করার চেষ্টা করছেন বিধায়ক।
জমির মালিকদের দাবি, এই নিয়ে চ্যাটার্জিহাট থানায় অভিযোগও জানানো হয়েছে। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না করায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন জমির মালিকরা। আদালতে দু’টি পৃথক মামলা দায়ের করেছেন ওই দুই অভিযোগকারী। যদিও পুলিশের দাবি, তারা দুটি অভিযোগই তদন্ত করে দেখেছে এবং সেই অভিযোগগুলির কোনও সত্যতা নেই। প্রসঙ্গত, এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে মামলাটি ওঠে। মামলায় হুমায়ুন কবিরকে যুক্ত করা হলেও এদিন তাঁর কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না এজলাসে। মামলাকারীদের আইনজীবীদের বক্তব্য, শুধু ওই দুটি জমিই নয়, রেস্তরাঁর আশপাশের আরও বেশ কিছু ফাঁকা জমি এইভাবে দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু ভয়ে অনেকে মুখবন্ধ করে রেখেছেন বলে দাবি আইনজীবীদের।
আগামী ২০ জুন বিচারপতি এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন স্থির করেছেন। আগামী দিনের শুনানিতে বিধায়কের প্রতিনিধিকে আদালতে হাজির থাকার কথা বলেছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। পাশাপাশি পুলিশকেও পরবর্তী শুনানির দিন দু’টি অভিযোগের বিস্তারিত রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিন হাইকোর্টে মামলার প্রসঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল ডেবরার বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের সঙ্গেও। তিনি অবশ্য জানাচ্ছেন, “আমার বিরুদ্ধে কারও জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ বা ফাঁকা জায়গায় খোড়াখুড়ি, কলম তোলার অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা। আমি এরকম কোনও কাজ করছি না। অন্য কারও জমি দখল করা আমার কাজ নয়। আমি আইন ভাল করে বুঝি, আমি জানি। যে অভিযোগ উঠছে, তা সর্বৈব মিথ্যা ও সাজানো।” বিধায়ক আরও জানান, তাঁর বিরুদ্ধে যে হাইকোর্টে মামলা হয়েছে, সেটাই তিনি জানতেন না।