অভিভাবকরা বকেয়া ফি না মেটালে ব্যবস্থা নিতে পারবে স্কুল কর্তৃপক্ষ, নির্দেশ হাইকোর্টের
বকেয়া বেতন মেটানোর জন্য অভিভাবকদের তিন সপ্তাহের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা: অভিভাবকদের কপালে ভাঁজ ফেলে স্কুল-ফি সংক্রান্ত মামলায় এ বার বড় সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা হাইকোর্ট। স্কুলের বকেয়া বেতনের ন্যূনতম অর্ধেক, অর্থাৎ ৫০ শতাংশ যদি অভিভাবকেরা না মেটান, তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ চাইলেই পদক্ষেপ করতে পারবে পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। এই বকেয়া বেতন মেটানোর জন্য অভিভাবকদের তিন সপ্তাহের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর অন্যথা করলেই পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার সুযোগ থাকবে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে।
স্কুল-ফি সংক্রান্ত মামলায় একাধিকবার অভিভাবকরা অভিযোগ তুলেছেন যে বেতন বকেয়া থাকলে অনলাইন ক্লাস থেকে পড়ুয়াদের বরখাস্ত করে দেওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের। যা নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের পালটা দাবি, আদালত ৮০ শতাংশ বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও অনেক অভিভাবক এমন রয়েছেন যারা এক টাকাও দেননি।
এই পরিস্থিতিতেই শুক্রবার আদালত জানিয়ে দেয়, বকেয়া স্কুল-ফির অন্তত ৫০ শতাংশ আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যেই মেটাতে হবে অভিভাবকদের। যাঁরা এই নির্দেশ মানবেন না, তাঁদের পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে যে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে। বহু ক্ষেত্রে এমনটাও হচ্ছে যে পড়ুয়া দশম বা দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর বকেয়া বেতন মেটানো হচ্ছে না। এহেন পরিস্থিতিতে সেই সকল পড়ুয়াদের শংসাপত্র যাতে বোর্ড ইস্যু না করে, সেই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
আদালতের সাফ কথা, করোনা ও লকডাউন আবহে যেমন বহু পরিবারের অর্থনৈতিক সংকট হয়েছে, তেমনই স্কুলগুলি চালানোর ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এটা খুব দুঃখজনক যে বহু ক্ষেত্রে অভিভাবকরা সরকারি চাকরি করছেন এবং সচ্ছলতা রয়েছে, তাঁরাও ছাত্র-ছাত্রীদের বেতন দিচ্ছেন না। অথচ বেতন দেওয়া ছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রে তাঁরা অর্থ খরচ করছেন, যা অত্যন্ত উদ্বেগের। আরও পড়ুন: তৃণমূলে থেকেই মুকুল বললেন ‘উপনির্বাচনে তৃণমূল হেরে যাবে’, নয়া জল্পনা উস্কে দিলেন ‘রায়বাবু’