Primary TET: ২০২২-এর টেটের বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হাইকোর্টে
Primary TET Case in High Court: আগামী ১১ ডিসেম্বর সেই পরীক্ষা হওয়ার কথা। ১৪ নভেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। আনলাইনেও আবেদন জানানো যাবে।
কলকাতা : প্রাথমিকের টেট নিয়ে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হল কলকাতা হাইকোর্টে। ২০১৪-র টেটে প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল আগেই। সেই মামলার কোনও সমাধান সূত্র না বেরনো সত্ত্বেও কেন নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হল, তা নিয়েই মামলা হয়েছে। তবে যেহেতু ওই টেট পরীক্ষার আবেদনের সময়সীমা এখনও অনেক বাকি রয়েছে, তাই অবকাশকালীন বেঞ্চ মামলার শুনানি পিছিয়ে দিল। শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের সিঙ্গল বেঞ্চে ওঠে সেই মামলা। কিন্ত আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়,পুজোর ছুটির পরে হাইকোর্টের রেগুলার বেঞ্চে শুনানি হবে।
আগামী ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা হওয়ার কথা। প্রায় পাঁচ বছর বাদে, অনেক মামলা-মোকদ্দমার পর অবশেষে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। যাঁরা আগে টেট পাশ করেছেন ও যাঁদের প্রশিক্ষণ নেওয়া আছে, তাঁরা আবেদন করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। ফলে, ২০১৪ ও ২০১৭ উভয় সালের টেট উত্তীর্ণরাই আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু প্রশ্নপত্র সংক্রান্ত অভিযোগের সুরাহা না হওয়ায় নতুন বিজ্ঞপ্তি নিয়ে আপত্তি জানানো হচ্ছে। আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত টেটে বসার জন্য আবেদন করা যাবে। তাই বিচারপতি মামলার শুনানি পিছিয়ে দিয়েছেন। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বক্তব্য, যেহেতু আবেদন করার জন্য এখনও পর্যাপ্ত সময় রয়েছে তাই মামলাটি আগামী মঙ্গলবার রেগুলার বেঞ্চেই শুনানি হবে।
এদিকে, এই টেট নিয়ে রয়েছে অনেক বিতর্ক। ২০১৪-র প্রার্থীদের দাবি, তাঁরা টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাই আর পরীক্ষায় বসবেন না, সরাসরি নিয়োগ করতে হবে তাঁদের। অন্যদিকে, ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণদের দাবি, তাঁরা নিয়ম মেনে প্রশিক্ষণ নিয়ে টেটে বসেছিলেন, তাই তাঁদের আগে নিয়োগ করা উচিত। এই দাবি জানিয়ে দু পক্ষই ধর্নায় বসেছিল সল্টলেকে। পরে আদালতের নির্দেশের পর করুণাময়ী থেকে বিক্ষোভকারীদের তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার সেই মামলারও শুনানি ছিল।
এদিন, বিচারপতি অমৃতা সিনহা ও বিচারপতি অজয় মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি ছিল। বিধান নগরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে থেকে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের রাতের অন্ধকারে গায়ের জোরে কীভাবে তুলে দিল পুলিশ, সেই প্রশ্ন তুলেই ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হয়েছিল। সেই মামলাগুলি অতি জরুরি নয় বলে চিহ্নিত করে আগামী মঙ্গলবার রেগুলার বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে।