Jadavpur University: তীব্র আর্থিক সঙ্কটে ধুঁকছে যাদবপুর, প্রাক্তনীদের থেকে অর্থ সাহায্য চাইলেন উপাচার্য
Jadavpur University: বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের থেকে অর্থ সাহায্য চেয়ে চিঠি লিখলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। যাদবপুরের গ্লোবাল অ্যালামনি ফাউন্ডেশনের কাছে সেই চিঠি পাঠানো হয়েছে।
কলকাতা: চরম সঙ্কটের মুখে শিক্ষাক্ষেত্র। আর্থিক অনটনের ধাক্কায় বেসামাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। বিপাকে যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। অর্থাভাবে কার্যত অচলাবস্থার দিকে এগোচ্ছে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি। হাত পড়ছে জমানো টাকায়। এবার আর্থিক সঙ্কট কাটাতে প্রাক্তনীদের দ্বারস্থ হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের থেকে অর্থ সাহায্য চেয়ে চিঠি লিখলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। যাদবপুরের গ্লোবাল অ্যালামনি ফাউন্ডেশনের কাছে সেই চিঠি পাঠানো হয়েছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় জানিয়েছেন, “বিশ্ববিদ্যালয় এই মুহূর্তে বছরে প্রায় ৪৫-৫০ কোটি টাকা লাগে দৈনন্দিন খরচে (ল্যাবরেটরি চালানো, ক্লাস চালানো এবং বিভিন্ন বিদ্যুতের খরচ)। সেখানে রাজ্য সরকার এখন মেরে কেটে ২০ কোটি টাকা দিচ্ছে। অর্থাৎ প্রায় ৩০ কোটি টাকার ঘাটতি। এরকম চলতে থাকলে পড়াশোনা করানোর কাজই দূরূহ হয়ে উঠবে।”
যাদবপুরের মতো একই অবস্থা প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়েরও। ছাত্র সংসদ কোনও দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও, শোনানো হচ্ছে অর্থভাবের কথা। প্রেসিডেন্সি স্টুডেন্ট ইউনিয়নের সহ সাধারণ সম্পাদক দিপ্রজিৎ দেবনাথ বলেন, “ছাত্রাবাস ও ছাত্রীবাসের টাকা বাড়ানো হয়েছে। পড়ুয়াদের বেশি টাকা দিতে হচ্ছে এখন। যখন আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে এই বার্তা নিয়ে যাচ্ছি, তখন কর্তৃপক্ষ বলছে সরকার থেকে টাকা দেওয়া হচ্ছে না।”
বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন অর্থাভাব? কোথায় সমস্যা? প্রথমত, কোভিডকালে বিপুল খরচ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ে খরচ বাড়লেও, সেই তুলনায় বাড়েনি আয়। এছাড়া, রাষ্ট্রীয় উচ্চতর শিক্ষা অভিযান প্রকল্পের টাকাও আটকে রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় এই প্রকল্পের পুরো টাকা আসেনি বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকার থেকে যে পরিমাণ টাকা আসার কথা, তাও আসছে না বলেই অভিযোগ উঠছে যাদবপুরে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক সংগঠনের।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ সঙ্কট এতটাই গুরুতর, যে কোর কমিটির বৈঠকেও এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু কেনই বা হঠাত্ করে এই অর্থ সঙ্কট? কেন্দ্রীয় প্রকল্পের পুরো টাকা না আসার জন্যই এই দুর্দশা, বলে দাবি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যের। যাদবপুরের সহ উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “কোভিডকালে এই সমস্যা আরও বেড়েছে। কারণ, কোভিডকালে আমরা পড়ুয়াদের থেকে কোনও টাকা নিইনি। বিভিন্ন কোর্স ফি-তে ছাড় দেওয়া হয়েছিল।”
ইতিমধ্যেই এই চরম অর্থ সমস্যার কথা জানিয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির তরফে। তবে চিঠিতে লাভের লাভ কিছু হয়নি বলেই সূত্রের খবর। এমন পরিস্থিতিতে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের থেকে সাহায্য চাইল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।