Recruitment Scam: এবার CBI-এর জালে বাগদার ‘সৎ রঞ্জন’, নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে গ্রেফতার মোট ৪
Recruitment Scam: প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস প্রথম এই চন্দন মণ্ডলের নাম সামনে আনেন। একাধিকবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে এবারও কেন্দ্রীয় সংস্থার জালে আরও চারজন। শুক্রবার নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হল চন্দন মণ্ডলকে (Chandan Mondal)। সেই সঙ্গে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাঁরা এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন বলে অভিযোগ। আগেও একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁকে। এবার তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। মাস কয়েক আগে এই চন্দন মণ্ডলের নাম সামনে এনেছিলেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস। তিনি ‘সৎ রঞ্জন’ নাম ব্যবহার করে প্রথম চন্দনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সামনে আনেন। টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চন্দনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে।
গোয়েন্দারা মনে করছেন, নিয়োগ দুর্নীতির যে চক্র, তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল চন্দন মণ্ডলের। আদালতেও চন্দনের নাম জানিয়েছিলেন উপেন বিশ্বাস। চাকরি বিক্রির ক্ষেত্রে প্রসন্ন রায়ের মতো যে সব মিডলম্যান ছিলেন, তাঁদের মধ্যে চন্দন অন্যতম বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। আধিকারিকদের অনুমান, চন্দনকে জেরা করলেই সামনে আসবে কুন্তল ঘোষের মতো আর কারা টাকা নিয়েছিলেন। তা জানা গেলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত আরও কয়েক ধাপ এগোবে বলেও মনে করছে সিবিআই।
তদন্তকারী সংস্থার যাঁদের বয়ান নিয়েছেন, তাঁদের অনেকের মুখেও চন্দনের নাম শোনা গিয়েছে। তবে প্রথম এই নাম সামনে আনেন উপেন বিশ্বাস। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে ওই অভিযোগ সামনে এনেছিলেন। উপেন বিশ্বাস দাবি করেছিলেন, চাকরির বিক্রির অভিযোগের কথা তাঁর কানে এসেছে। কী সেই অভিযোগ? রঞ্জন ওরফে চন্দন শিক্ষকের চাকরি বিক্রি করেন। ১০ লক্ষ বা ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে চাকরির আশ্বাস দেন তিনি। চন্দন নাকি বলতেন, উত্তরপত্রে কিছু লেখা যাবে না। শুধু নাম আর রোল নম্বর দিতে হবে। উত্তর লিখলে চাকরি পাওয়া যাবে না। পরে আদালতেও উপেন বিশ্বাস এ কথা জানান।
গোয়েন্দা সংস্থার কাছে চন্দন মণ্ডল দাবি করেছিলেন, উপেন বিশ্বাস তাঁকে ফাঁসাতে চাইছেন। তবে গোয়েন্দারা বুঝতে পারেন, চন্দনকে হেফাজতে নিলেই টাকার লেনদেন স্পষ্ট হতে পারে।
চন্দনের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘দেখা গিয়েছে চন্দন বস্তা বস্তা টাকা কলকাতায় পাঠান। এরকম পাড়ায় পাড়ায় সৎ রঞ্জনেরা আছে।’ মূল অভিযুক্তদের দ্রুত সামনে আনা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।