Chanditala: ‘ওই মেয়েটার মুখে রক্তের ছিটে লেগেছিল…’, একাধিক নারীসঙ্গ, পানশালা চালাতেন চণ্ডীতলার ‘বড়বাবু’ জয়ন্ত পাল: সূত্র
Chanditala: শুক্রবার TV9 বাংলা পৌঁছে গিয়েছিল চণ্ডীতলা থানার আইসি জয়ন্ত পাল, যিনি সম্প্রতি প্রোমোটেড হয়ে ওসি হয়েছিলেন, তাঁর বিশেষ বান্ধবীর বাড়ির এলাকায়। বাড়িতে যেতেই বেরিয়ে আসেন তাঁর মা।

কলকাতা: মধ্যরাতে গুলিবিদ্ধ পুলিশ অফিসার! তা নিয়ে একাধিক তত্ত্ব! প্রথম, পুলিশ অফিসার নিজেই নাকি নিজেকে গুলি করেছেন, দুই, বিশেষ বান্ধবীর সঙ্গে ঝামেলার কারণে, তাঁকে শিক্ষা দিতেই নাকি গুলি করেছেন, অন্ততপক্ষে সিসিটিভি ফুটেজে তাই দেখা গিয়েছে, তত্ত্ব তিন: পুলিশ অফিসারের বাঁ হাত থেকে যে গুলি পাওয়া গিয়েছে, তা সার্ভিস রিভলবার থেকে নয়। সেই গুলি চালানো হয়েছিল কোনও দেশি পিস্তল থেকে! চণ্ডীতলা থানার আইসি-র গুলি কাণ্ডে এরকম একাধিক তত্ত্ব উঠে এসেছে। উঠে আসছে আহত পুলিশ অফিসার ও তাঁর বিশেষ বান্ধবীর বয়ানও!
শুক্রবার TV9 বাংলা পৌঁছে গিয়েছিল চণ্ডীতলা থানার আইসি জয়ন্ত পাল, যিনি সম্প্রতি প্রোমোটেড হয়ে ওসি হয়েছিলেন, তাঁর বিশেষ বান্ধবীর বাড়ির এলাকায়। বাড়িতে যেতেই বেরিয়ে আসেন তাঁর মা। তাঁর দাবি, মেয়ের নাম ওই পুলিশ অফিসারের সঙ্গে জড়িয়ে নাকি বাজে রটানো করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই কাণ্ডে অফিসারের এই বিশেষ বান্ধবীকেই আটক করেছে পুলিশ।
ওই তরুণীর মা বলেন, “আমার মেয়ে কেবল ওই লোকটাকে তুলে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিল। সেটা কি অপরাধ করেছে? কোন হাসপাতালে দেবে, সেটা নিয়েই দিশা হারিয়ে ফেলছে।” অফিসারের সঙ্গে পূর্ব পরিচিতির বিষয়টিও অস্বীকার করেন ওই তরুণীর মা-বোন। তিনি বলেন, “একজন অফিসারের সঙ্গে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কোনওদিনও সম্পর্ক হয়? রটাবার জন্য অনেক লোক অনেক কথাই বলতে পারে।” যদিও প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ওই তরুণী পুলিশ অফিসারের বিশেষ বান্ধবী। ২৫-৩০ হাজার টাকার কেনাকাটা করা নিয়েই তাঁর সঙ্গে বচসা হয়েছিল। আর তার থেকেই এই ঘটনা।
উল্লেখ্য, সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, ওই পুলিশ অফিসার নিজে গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন, হাতে গুলি চালান। তারপর ওই সাদা গাড়ি থেকেই বেরিয়ে এসেছিলেন তরুণী। এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, ” আমরা শব্দ শুনতে পেয়ে ছুটে এসেছিলাম। ওই লোকটা বলেছিলেন, আমি পুলিশে আছি, এই ম্যাটারটাকে বেশি বড় করার দরকার নেই। ওই মেয়েটা গাড়ির ভিতরেই বসে ছিল। তার মুখে রক্ত লেগেছিল।”
তবে ওই পুলিশ অফিসারের বাঁ হাতের ওপর ছুঁয়ে যে গুলি বেরিয়ে গিয়েছে, সেটি সেভেন এমএম পিস্তলের। অর্থাৎ সার্ভিস রিভলবারের নয়। তাহলে কি অন্য কোনও বন্দুক ছিল ওই অফিসারের কাছে?
যে হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন, সেই বেসরকারি হাসপাতালের ফেসিলিটি ডিরেক্টর বলছেন, যাঁরা পুলিশ অফিসারকে ভর্তি করাতে এসেছিলেন, তাঁরা নিজেদের ‘কলিগ’ অর্থাৎ সহকর্মী বলেই পরিচয় দিয়েছিলেন। তাহলে প্রশ্ন তারা কারা?
সূত্রে এও জানা গিয়েছে, ওই ‘বড়বাবু’ শেরারে পানশালা চালাতেন। তাঁর পানশালাতে নাকি যেতেন জেলার অন্য বড়বাবুরাও। একাধিক নারীসঙ্গ ছিল তাঁর। এই গোটা বিষয়টি নিয়েই এখন একাধিক ধোঁয়াশা! এই মুহূর্তে জয়ন্ত পাল নামে ওই আইসিকে থানার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার জায়গায় সার্কেল ইন্সপেক্টর সন্ধি গঙ্গোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।





